শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফুলছড়ি উপজেলার পুরাতন ফুলছড়িতে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে আসেন ‘চরাঞ্চলের সোনা’ খ্যাত মরিচ ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন সবজি পাইকারি কিনতে। এ হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে লাখো মানুষ জমে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ফুলছড়ি হাটে প্রশাসন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার অভাবে পচে যাচ্ছে যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অর্ধশত চরে উৎপাদিত কৃষি পণ্য।
বর্তমানে জেলায় কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা প্রতি মণ। টমেটো ৮০ টাকা প্রতি মণ আর বেগুন ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা প্রতি মণ। এত কম দামে পণ্য বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা লোসকান দিতে হচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে চরাঞ্চলের মরিচ চাষিদের মরিচ শুকানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলছড়ি হাট যেন অচেনা রূপ ধারণ করেছে। দুই সপ্তাহ আগেই রাস্তার পাশে হাজারো লোকের ভিড়ে পথ চলা কঠিন ছিল কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আজ সবকিছু ফাঁকা। দেড় যুগের ঐতিহ্যবাহী এই হাটের এমন অবস্থা হবে কেউ কখনও ভাবতে পারেনি।
কৃষক আবেদুর রহমান বলেন, অনেক কষ্ট করে কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে ফুলছড়ি বাজারে এসে বিপদে পড়েছি। এই হাটে কাঁচামালের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছি না। বিক্রি করতেও পারছি না। দু’সপ্তাহ আগে মরিচ বিক্রি করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।