শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা , ঘাঘট, করতোয়া, বাঙালিসহ ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদ-নদী। জেলায় প্রবাহিত মোট নদী পথের আয়তন প্রায় ১০৭ কি.মি.। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় জেলার সব কয়টি নদ-নদী বর্তমানে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধার নদ-নদীগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বয়ে যাওয়া অধিকাংশ নদ-নদী প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় মানুষজন হেঁটে চলাচল করছে। যে দিকে তাকানো যায় শুধু বালু আর বালু। গেল বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবারের শুষ্ক মৌসুমে আগাম নদ-নদীর পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে কৃষিসহ জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় কমে গেছে মাছের আমদানি। ফলে জেলেরা বাঁচার জন্য অন্য পেশা খুঁজছে। পানি কমায় আবাদ করতে কৃষককে গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।
বছরের আষাঢ়, শ্রাবণ,ভাদ্র,আশ্বিন এই ৪ মাস নদীতে কানায়-কানায় পানি থাকে। বছরের বাকি ৮ মাসের মধ্যে কার্তিক, অগ্রহায়ণ ২ মাস পানি মাঝামাঝি এসে দাঁড়ায়। পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ এই ছয় মাস পানি হাঁটু জলে নেমে এলেও এবার অনেক নদীর পানি আগাম শুকিয়ে চরে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নদ-নদী দিয়ে প্রায় ২ বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি মাটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ পলিমাটি জেলার বিভিন্ন নদী দিয়ে আসে। ফলে নদীগুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। জালের মতো বিছিয়ে থাকা নদ-নদী একে একে বিলীনের পথে। পানির অভাবে স্থায়ী মরুকরণের পথে যাচ্ছে দেশের উত্তরের নদী বেষ্টিত জেলাটি।
ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী ঘাটের মাঝি মালেক, হাসমত আলীসহ অনেকেই জানান, ব্রহ্মপুত্র ভরাট হবার কারণে নৌ চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। পানি কম থাকায় নৌকা ঘুরে যেতে তেল ও সময় দুটোই বেশি লাগে। এতে করে মাঝিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।