শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ চলছে শীতের ভরা মৌসুম। এই সময়ে শাকসবজির দাম কম থাকার কথা। কিন্তু বাজারে এখনও প্রতিটি সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি থাকার পরও সবজি কেন এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা। তারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনা পড়ছে, তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি যাচ্ছে।
গাইবান্ধার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। সিম মানভেদে ৪৫-৫৫, গাঁজর ৫৫-৬৫, মুলা ৩৫-৪৫, শসা ৩৫, টমেটো ৪৫-৫৫, বেগুন ৪৫, করলা ছোট ৭৫, বড় করলা হাইব্রিড ৫৫, বরবটি ছোট লাল ৪৫, শালগম ৩৫, খিরা ৩৫ ও বরবটি ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও মাঝারি ধরনের ফুলকপি প্রতি পিস ৩৫ টাকা, ফুলকা (পেঁয়াজের ফুল) ১৫-২৫ টাকা প্রতি আটি, বাঁধাকপি মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। নতুন পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও আগের ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। বাজারে ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। এক কেজি বয়লার মুরগির দাম ১৬৫-১৭৫ টাকা। কক ২৩৫, সোনালি ২৬৫ ও পাকিস্তানি ২৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকায়। আর খাসির দাম ৮০০ টাকা। জেলা শহরের পুরাতন বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাহাবুব আলম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শীত চলে এসেছে কিন্তু বাজারে সবজির দাম এখনও কমেনি। সব ধরনের সবজিই এখনও ৫০ টাকা বা তার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা সবজি কিনতেই হিমশিম খায়। মাছ-মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম না হয় বাদই দিলাম। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে শীত চলে আসার পরও সবজির দাম বেশি। এটা খুবই দুঃখ আর হতাশার বিষয়।