মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি : গত ২০ আগষ্ট সুন্দরগঞ্জ-চিলমারী তিস্তা নদীর উপর মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনের পর হতে সেতুর দুই পাশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী সরিয়ে নেয়ায় একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো নিয়ে এলাকাবাসির মাঝে ব্যাপক সমালোচনা ও পর্যালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না। এলাকার অনেকের দাবি দীর্ঘ ১১ বছরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল না, এখন কেন এসব হচ্ছে। এলাকাবাসির দাবি ঘটনাগুলো পরিকল্পিত এবং রহস্যজনক।
উদ্বোধনের একদিন পরেই ল্যাম্পপোস্টের ৩১০ মিটার বিদ্যুতের তার চুরির রেশ কাটতে না কাটতেই সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর ২৪ আগস্ট রোববার রাতে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুই যুবক হাদিয়া জামান ও মোকছেদুল ইসলাম। এটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অস্বস্তি সৃষ্টিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রিফ্লেক্টর লাইট চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশল উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, রিফ্লেক্টর লাইট চুরির বিষয়টি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন। স্থানীয় পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেতুর ল্যাম্পপোস্টের বিদ্যুৎ সংযোগের তার চুরির বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। সেতুর সিকিউরিটি ইনচার্জ নুর আলম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। দুষ্কৃতকারীদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। ৩১০ মিটার বৈদ্যুতিক তারের আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ারও কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সেতুটি দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ হলেও সেখানে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণ, নেই সিসি ক্যামেরা বা স্পিড ব্রেকার। ফলে গাড়িগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে, যা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মী না থাকা এবং সেতু অন্ধকারে ডুবে থাকে, কারণে বৈদ্যুতিক তার ও রিফ্লেক্টর লাইট চুরি হয়েছে।