সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বছরের এ সময় খাল-বিল, পুকুর-ডোবা, নদী-নালাসহ নিচু জলাশয় পানিতে টইটুম্বর হয়ে থাকার কথা। চলতি বছরের চিত্র ভিন্ন, আষাঢ পেরিয়ে শ্রাবন তবুও নেই পানি। জুন হতে জুলাইয়ের মধ্যে আমন ধানের চারা রোপনের উত্তম সময়। পানির অভাবে আমন ধানের চারা রোপনে দেরি হচ্ছে। অনেক কৃষক সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে আমন চাষাবাদ শুরু করেছেন। এতে করে ব্যয় বাড়ছে এবং ফলন কমসহ লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
শান্তিরাম গ্রামের কৃষক পলাশ চন্দ্র মহন্ত বলেন, বৃষ্টির পানির জন্য অপেক্ষা না করে, অবশেষে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে আমন চারা রোপন শুরু করেছি। এতে করে অনেক ব্যয় বাড়বে। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে বোরো ধানের আদলে পানি দিতে হবে। তিনি বলেন সাধারন ভাবে এক বিঘা জমিতে চারা রোপন থেকে শুরু করে কাটামাড়াই পর্যন্ত ৬ হতে ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। ভাল ফলন হলে বিঘাতে ১৫ হতে ১৬মন ধান হবে। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১২০০ হতে ১৪০০ টাকা। তিনি মনে করেন, যদি আমন খেতে নিয়মিত সেচ দেয়া লাগে তাহলে বিঘা প্রতি ২০০০ টাকা খরচ বাড়বে। এতে করে কৃষকদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একই কথা বলেন, চন্ডিপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মতিন মিয়া। তিনি বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে আমন চাষাবাদের প্রাণ। বৃষ্টির পানি ছাড়া আমনের ফলন ভাল হবে না। খেতে পোকা মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যাবে। এছাড়া আগাছা বেশি হবে।