সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে ধর্মীয় সভার নামে বরাদ্দকৃত ২২ কোটি টাকার চাল আত্মসাতের অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ ১৫ জনকে অর্ন্তভুক্ত করে আদালতে চুরান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ২ হাজার ২শ’৫৩টি ধর্মীয় সভার নামে ৫ হাজার ৮শ’২৩ টন চাল সরকারি বরাদ্দ হয়। কিন্তু তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলর বরাদ্দের সমুদয় চাল আত্মসাৎ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দুদক রংপুর অঞ্চলের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ আলী আকবর আজিজ তদন্ত শেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সম্প্রতি মামলার এজাহার নামীয় ২৫ জনের মধ্যে ১০ জনকে অব্যাহতি দিয়ে অবশিষ্ট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চুরান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জের তাৎকালিন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি উম্মে কুলসুল স্মৃতি, সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুল, দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জর্জ, চালের আড়ৎদার ফয়জুল ইসলাম, তালুককানুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক, নাকাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা, গুমানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ জগলুল রশিদ রিপন, কামারদহ ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রতন, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মন্ডল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম রুপা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল আহাদ, গোলাপবাগ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও কামদিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার বর্মন।
এ ছাড়াও মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার তৎকালিন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহিরুল ইসলাম, কামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী বাবলু, কাটাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিক, শাখাহার ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম ভ্ট্টূু, রাজাহার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রতিফ সরকার, রাখালবুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন, কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, শালমারা ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামিম, পৌরসভার মহিলা কমিশনার গোলাপি বেগম ও মহিমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান।