সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। জিও ব্যাগ-জিও টিউব এবং ব্লক ফেলে ঠেকানা যাচ্ছে না ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে গত সাত দিনের ব্যবধানে ৭৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ও শতাধিক একর নানাবিধ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতাধিক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা কাপাসিয়া, হরিপুর, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারনে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে ব্লক, জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তার তার বসতবাড়িসহ এক বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আরও বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রান বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধ সরকারের উপর মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।