সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি: সাদুল্লাপুরে নাইম মিয়া (১৯) নামের যুবক এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় তরুণীটি অন্তঃসত্বা হলে কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ধর্ষক ও তার পরিবার। এ নিয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এই বাদীকে রাস্তা থেকে তুলে বাড়ির ভেতর নিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ধর্ষকের পিতা শহিদ মিয়া ও তার লোকজন। এদিকে বাড়িতে হামলাসহ ডাকাতির চেষ্টার নাটক সাজিয়ে শহিদ মিয়া মামলা করা পায়তার করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
গতকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত মারধরের শিকার ধর্ষিতার মাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দেখা গেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে শহিদ মিয়া দলবদ্ধ হয়ে জয়েনপুর রাস্তা থেকে ধর্ষিতার মা ও দুলাভাই বেলাল মিয়াকে বাড়ির ভেতর নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়। এসময় শহিদ মিয়া ও তার লোকজন পুলিশের উপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে মারধরের শিকার নারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ। এছাড়া বেলাল মিয়াকে ভর্তি করান স্বজনরা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণ-গর্ভপাত মামলার জেরে শহিদ মিয়ারা আমাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করেছে। এরপর নিজেরাই তাদের আলমারি ভেঙে নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার কুটকৌশল করছে। এর আগেও আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেছে তারা। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী অন্তঃসত্বা হয়। পরে কৌশলে গর্ভপাত ঘটিয়েছে ধর্ষক নাইম মিয়া ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে গত ২৭ মে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার মা। এ দিকে এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ও বাদী পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য নাটকীয় কৌশল অবলম্বন করছে শহিদ মিয়া। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই রাতে বাদী ও তার আত্নীয় বেলালকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে শহিদ মিয়া।