সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন
সুুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রের সংখ্য অনেক বেশি। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যক্তি গরুর মালিক থেকে শুরু করে খামারীরা ইতোমধ্যে দালালের মাধ্যমে পশু বিক্রি শুরু করেছেন। দালালরা পশু মালিকের নিকট থেকে দরদাম ঠিকা করে নিয়ে গিয়ে হাটে বিক্রি করে টাকা দিচ্ছেন। ঠকছেন ক্রেতাগণ, পুঁজি ছাড়াই লাভবান হচ্ছেন দালালরা। বিভিন্ন পশুর হাট বাজার ঘুরে ফিরে দেখা গেছে মালিকদের হাতে কোন পশু নেই। সবপশু দালালদের হাতে। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে কুরবানির পশুর দাম অনেক কম। মালিকদের মাধ্যমে পশু বেচিকিনি হলে পশুর দাম আরও কম হত দাবি ক্রেতাদের।
গত সোমবার বেলকা হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা মো. আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, অবশেষে দালালদের মাধ্যমে গরু কিনতে হল। সে কারনে তাকে দেড় হতে দুই হাজার টাকা বেশি দিতে হল। গরুর মালিকের হাতে গরু থাকলে ক্রেতাগণ আরও কমে গরু কিনতে পারত। তার ভাষ্য, যখনেই কোন গরুর নিকট গিয়ে আপনি দাম করবেন , ঠিক তখনেই তাদেরেই একজন দালাল এসে আপনার দামের চেয়ে ৫০০ হতে এক হাজার টাকা বাড়িয়ে দিয়ে দাম করছেন। এভাবে চলতে পশুর হাটে বেচিকিনি।
গরুর দালাল আনজু মিয়া বলেন, দাম বেশি পাওয়ার আশায় বেশির ভাগ খামারী ও ব্যক্তি পশুর মালিকরা কোরবানি সময় পশু বিক্রি করে থাকেন। খামারে এবং বাড়িতে গিয়ে পশু কিনে জেলার বাইরে অথবা স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করেন তারা। এতে যা লাভ হয় তা দিয়ে চলে তাদের সংসার। অনেক সময় লোকসান হয়।
ইজারাদার মোঃ সোহেল রানা বলেন, মালিক ও দালাল চেনা বড় দায়। অনেক দালাল মালিক সেজে গরু বিক্রি করে থাকেন। তবে ক্রেতাগণ সরাসরি মালিকের নিকট পশু কিনতে পারলে ৫০০ হতে এক হাজার টাকা বাঁচত। এখানে আসলে ইজাদারের কিছু করার নেই।