শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত দুই দিনের বৃষ্টির কারণে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার তিস্তাবাজার-একতাবাজার পাকা সড়কের রামডাকুয়া ব্রিজের পশ্চিম এবং পূর্বপাশে সড়ক ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির তোড়ে সড়কের অর্ধেক অংশ ধসে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। বৃষ্টি-বাদল অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা সড়কটি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দাবি স্থানীয়দের। ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের ধারে গাইড ওয়াল এবং ঢাল ড্রেন না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বললেন এলজিইডি।
উপজেলার বেলকা, তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের ২০ হাজার বাসিন্দার চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। গত একমাস হতে চরের উৎপাদিত ভূট্টা ওই সড়কটি দিয়ে আনা নেয়া করছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। প্রতিদিন শতাধিক ট্র্যাক, ভ্যান, টলি, গোড়ার গাড়ি চলাচল করছে সড়কটি দিয়ে। বিগত তিন বছর পূর্বে এলজিইডি ব্রিজসহ সড়কটি নির্মাণ করেন।
রামডাকুয়া মহল্লার স্কুল শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন, গত বছরেও বৃষ্টির কারণে ব্রিজের দুই পাশে পাকা সড়কটি ধসে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ফের ওই স্থানে সড়কটি ধসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কের অর্ধেক অংশ ধসে গেছে। রাতারাতি বৃষ্টি হলে গোটা সড়কটি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। একপাশ দিয়ে একটি করে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কটি রক্ষার জন্য জরুরী ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
ভূট্টা নিতে আসা ট্র্যাক ড্রাইভার মোজাম্মেল হক বলেন, গত ২০দিন ধরে এই স্থান হতে ভূট্টা পরিবহন করছি। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার দুই দিনের বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে ব্রিজের দুই পাশের বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালু মাটির কারণে এ ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে ট্র্যাক চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি ধসে যেতে পারে।
বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, তিস্তার চরবাসির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক ও ব্রিজটি। নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছর বৃষ্টির সময় সড়কটি ধসে যাচ্ছে। গাইড ওয়াল এবং ঢাল ড্রেন দিয়ে স্থায়ীভাবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য জোর দাবি তাঁর।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গাইড ওয়াল না থাকার কারণে বার বার এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। জরুরী ভিত্তিত্বে মেরামতের জন্য স্টিমেট তৈরি করে নিবার্হী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই কাজ করা হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে জরুরী ভিত্তিত্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে।