শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

কোরবানির ঈদের আগে গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আতঙ্কে খামারিরা

কোরবানির ঈদের আগে গরুর লাম্পি স্কিন রোগে আতঙ্কে খামারিরা

স্টাফ রিপোর্টার: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গাইবান্ধায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস। জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করায় আতঙ্কে পড়েছেন খামারি ও কৃষকরা। চিকিৎসা করেও কাঙ্খিত ফল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর শরীরে শুরুতে জ্বর, ব্যথা ও গলা ফুলে যায়। পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গোলাকার গুটি বা ফোস্কা ওঠে। পা ও শরীরের নিচের অংশ ফুলে পানি জমে এবং একপর্যায়ে ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত তৈরি হয়। এই রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। অনেক গরু মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের খামারি সফিউল মিয়া বলেন, আমার গরুর হঠাৎ জ্বর আসে। তারপর গলায় ফোস্কা উঠে। ওষুধ দিলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, ওষুধ খাওয়ালেও একটি গরু থেকে আরেকটিতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগটি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ রোগ থেকে গবাদিপশুকে রক্ষা করতে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ রেখে সচেতন হতে হবে। গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। আক্রান্ত গরুকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে, মুখে না পারলে শরীরে পুশ করতে হবে। আমাদের একাধিক ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে। কোনোভাবেই স্থানীয় বা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া যাবে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গাইবান্ধায় প্রায় ১৫ লাখ ৩০ হাজার ২০৩টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার দুগ্ধজাত এবং ১১ হাজার ২৭০টি মোটাতাজাকরণ গরুর খামার রয়েছে। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এসব খামারে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com