রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মিশুক চালক ও পত্রিকা বিক্রেতা আনিছুর রহমান ওরফে ঠান্ডা মিয়া হত্যার ঘটনায় র্যাবের জালে ধরা পড়েছে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৪ জন। র্যাব-১৩ এর একাধিক টিম ছায়া তদন্তে নামে এবং এ ঘটনায় জড়িতদেরকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গতকাল শুক্রবার রংপুরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ১৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহা. জয়নুল আবেদীন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলায় মিশুক চালক ও পত্রিকা বিক্রেতা আনিছুর রহমান ওরফে ঠান্ডা মিয়াকে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন পিডিবি নেসকো-১ অফিসের গেটের পাশে ফেলে রেখে যায় এবং অটো মিশুকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ২৫ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
ঘটনার পরপরই র্যাব-১৩ এর একাধিক টিম ছায়া তদন্তে নামে এবং মামলার ঘটনায় জড়িতদেরকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল পহেলা মে রাতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্নস্থান থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্ধা সদরের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে কবির আলম (৪০), একই এলাকার আসলাম মিয়ার ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (২৮), সাদুল্লাহপুরের আনিছুর রহমানের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (৪০) ও একই উপজেলার মোসলেম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মোঃ রাশেদ মণ্ডল (৪২)। গ্রেফতারের পাশাপাশি ছিনতাই করা মিশুকটি রাশেদ মণ্ডলের গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর এই হত্যা মামলায় গত ২৭ এপ্রিল হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যতম অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।