শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন
নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধি: বোনারপাড়া-পার্বতীপুর রেলওয়ে রুটে চলাচলকারী রামসাগর ট্রেনের ইজ্ঞিন বিকল হওয়ায় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
গতকাল রোববার ট্রেনটি উৎপত্তিস্থল বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় পার্বতীপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার সময় হঠাৎ ইজ্ঞিনটি বিকল হয়ে যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিকল্প ইজ্ঞিনে ট্রেনটি চালিয়ে নিতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। এসময় বিভিন্ন স্টেশনে শতশত নারী পুরুষ যাত্রী সাধারন দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরেও রেলকর্তৃপক্ষ ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারেনি। বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, রামসাগর ট্রেনটি বোনারপাড়া স্টেশনে বিকল হলে যথাসময়ে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে খবর পেয়ে ট্রেনটি চলাচলের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে লালমনিরহাট থেকে একটি বিকল্প পাওয়ার ইজ্ঞিন পাঠানো হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় ৭ ঘন্টা পর ট্রেনটি বামনডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশ করে।
এমতবস্থায় দীর্ঘসময়েও ট্রেনটি না মধ্যবর্তী স্টেশন সমুহে আগমন না করায় অনেক যাত্রী প্রয়োজনের তাগিদে তাদের গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে নিরূপায় হয়ে বিকল্পপন্থায় সড়ক পথে বিভিন্ন যানবাহনে নানা হয়রানী আর অতিরিক্ত ভাড়ায় যেতে হয়েছে।
যাত্রীদের অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর অবহেলায় যাত্রীদের হয়রানী করা হয়েছে। বিকল্প ইজ্ঞিনটি লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে তাৎক্ষনিক ভাবে বোনারপাড়া স্টেশনে পৌঁছে। তারপরেও ৬/৭ ঘন্টা ট্রেনটি বিলম্বের জন্য যাত্রী সাধারন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। তারা দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করলে হয়তো ট্রেনটি দীর্ঘ বিলম্ব হতো না বলে যাত্রীদের এমন অভিযোগ।
সরেজমিনে নলডাঙ্গা স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক যাত্রী সকাল থেকে ট্রেনটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরমধ্যে অপেক্ষামান মিন্টু মিয়া,আব্দুস ছাত্তার,মমিনুল ইসলামসহ একাধিক যাত্রী বলেন, রেলওয়ে টাইম অনুযায়ী রামসাগর ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে নলডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশ করে।সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবসায়ীক কাজসহ নানা কাজে রংপুর,পীরগাছা, কাউনিয়া সহ বিভিন্নস্থানে যাওয়ার জন্য টাইমের ১০ মিনিট আগে থেকে স্টেশনে এসে অপেক্ষা করছি। এরপর জানতে পারি ট্রেনের ইজ্ঞিন নষ্ট হয়েছে। হয়তো কিছুক্ষন পর ট্রেনটি আসবে এই ভরসা নিয়ে দীর্ঘ ৪-৫ ঘন্টা অপেক্ষার পরেও ট্রেনটি বোনারপাড়া থেকে ছেড়ে না আসায় আমাদের অনেকটা হয়রানী ও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে।