বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ শীত মৌসুমের শুরু থেকেই নিজেদের জমিতে চাষ করা আখগুলো মাড়াই ও গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন। আখ চাষে লোকসান নয়, মুনাফার পরিমানই বেশি থাকে। গুড় তৈরি ও উৎপাদন কাজে এখানকার আখ চাষিরা অনেক এগিয়ে রয়েছেন। সবসময় ভেজালমুক্ত গুড় তৈরি করলেও অনেকেই আলু আটাসহ অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য মিশিয়ে নিয়ে গুড় তৈরি করেন। বাহিরাগত অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে গুড় কিনে মজুদ করে থাকেন। মজুদকৃত গুড় মাটির তৈরি মটকা, মাটির পাতিল এবং হান্ডিতে মজুদ করে মুল্য বৃদ্ধির অপেক্ষায় থাকেন,বাজার মুল্য সূযোগ নিয়ে বছরব্যাপী ওই গুড় বিক্রি করেন। এলাকায় অনেক দিন থেকেই আখ চাষের জনপ্রিয় এলাকা হিসেবে প্রসিদ্ধ। চিনির চেয়ে গুড়ের বেশি চাহিদা রয়েছে। আখ থেকে গুড় তৈরি করা হলে গুড়ের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ উত্তম জ্বালানিও পাওয়া যায়। সারা বছর প্রতিটি বাড়িতেই জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয় আখের উচ্ছিষ্টাংশ। এখানে ভালো মানের আখের গুড় তৈরি হয়ে থাকে। আখের জমির পাশেই চুল্লি বসিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। এ গুড়ে সাধারনত কোন ভেজাল থাকে না।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আখ চাষ বেশী হলেও দিনে দিনে আখ চাষ হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে কৃষকের নিকট থেকে চিনিকলে আখ সংগ্রহ অভিযান আগের মতো নেই। এছাড়াও একই সময়ে অন্যান্য লাভজনক ফসল শাক-সবজি, রবিশস্য ও ভুট্টাচাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহী। তবুও উপজেলার কিছু এলাকায় গুড়ের চাহিদা থাকায় কিছু চাষি নিয়মিত আখ চাষ করছেন। ফাতেমা কাউসার মিশু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা। চিনি ও গুড়ের বাজার সমান হলে গুড়ে চিনি মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হতো অধিকাংশ কারখানাগুলোতে। বর্তমানে চিনির দাম বেশী হওয়ায় সেই সুযোগ আর নেই। যার ফলে বর্তমানে প্রকৃত আখের রস থেকেই গুড় তৈরি করা হচ্ছে কারখানাগুলোতে। এতে গুড়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে আখচাষ বর্তমানে অনেক লাভজনক ফসল।