বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে আশঙ্কা জনক হারে ভূট্টার চাষ বেড়েছে

সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে আশঙ্কা জনক হারে ভূট্টার চাষ বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ দিন দিন বেড়েই চলছে ভুট্টার আবাদ। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা ভূট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চল এখন ভুট্টার দখলে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডীপুর, শ্রীপুর ৮ কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। এককালের খরস্রোতা রাক্ষুসী এ নদীটি এখন পলিজমে আবাদি জমিতে রুপ নিয়েছে। এই সুযোগে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো চাষ করছে নানা ফসল।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভাসহ ১৫টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বছর দশক আগে কাপাসিয়া চরের মোঃ আনছার আলীর ছয় বিঘা জমি তিস্তা গিলে খায়। তিনি চলে যান উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে। উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে তার জমিগুলো এখন আবাদী জমিতে রূপ নিয়েছে। গত বছর তিনি চার বিঘা জমিতে ভূট্টার আবাদ করে ৮০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। চলতি মৌসুমে ছয় বিঘিা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এ বছরেও এক লাখ টাকা লাভের আশা করছেন। হরিপুর চরের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে ভূট্টার আবাদ করে আসছেন তিনি। অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টার আবাদে কম পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া সার ও পানি বেশি দেয়া লাগে না। একবিঘা জমিতে ঘরচ হয় ১৫ হতে ১৬ হাজার। বিঘা প্রতি ফলন আসে ৩৫ হতে ৪০ মণ। মৌসুমের সময় প্রতিমণ ভূট্টা বিক্রি হয় হাজার টাকায়। এতে দেখা যায় বিঘা প্রতি লাভ হয় ২০ হতে ২৫ হাজার টাকা।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, চরের কৃষরা একবার চাষাবাদ করে গোটা বছরের খাবার যোগার করে থাকেন। চরের জমিতে নানা জাতের ফসল খুব ভাল হয়। নদী খনন ও ড্রেজিং না করার কারনে চরগুলো এখন আবাদী জমিতে রুপ নিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাশিদুল কবির বলেন, পলি জমে থাকায় চরাঞ্চলের মাটি অনেক উর্বর। রাসায়নিক সার ছাড়াই যে ফসলের ফলন ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে ভূট্টা, আলু, কুমড়া, বাদাম, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, সরিষা, তিল, তিশিসহ শাকসবজি এবং নানা জাতের ধান বেশি চাষ হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com