বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার ৩১ চরাঞ্চালে শীতে কাবু মানুষ। গাইবান্ধার সাত উপজেলার নদীবেষ্টিত সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার অন্তত দেড় লাখ মানুষ। কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। রোদ না ওঠায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠা-ায় কাহিল হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ১৬৫টি চরাঞ্চলের মানুষ। শহরের জীবনযাপন ও খেটেখাওয়া মানুষ কাজকর্ম করতে পারছে না। দিনমজুর, ধান কাটা-মাড়াইয়ে নিয়োজিত কামলা ও বীজতলা বপনের কাজ প্রচ-ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিকরা শীতের তীব্রতার কারণে কৃষিকাজ করতে পারছে না। গ্রামের বাড়ি বাড়ি রাত-দিন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না দরিদ্র শীতার্ত মানুষ।
বিশেষ করে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর চরাঞ্চল হরিপুর, বেলকা, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, লালচামার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, পোড়ার চর, বাদামের চর, ছেড়িমারার চর, কামারজানি, রসুলপুর, হাসধরা, চিথুলিয়ার দিগর, মোল্লার চর, কড়াইবাড়ি, মাইজবাড়ি, কঞ্চিপাড়া, চর কৃষ্ণমনি, চর গুপ্তমনি, সন্নাসির চর, উড়িয়া, রতনপুর, সিংগিজানিসহ অন্তত ৩১টি চরের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ শীতের তীব্রতার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
এসব চরাঞ্চলের মানুষ জোট বেঁধে বা নিজের বাড়িতে দিন-রাত খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।