বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন

শহরের গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড়

শহরের গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড়

স্টাফ রিপোর্টারঃ উত্তরাঞ্চলে কনকনে ঠান্ডা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশায় জবুথবু জনজীবন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। শহরের ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়ছে।
শীতের তীব্রতার হাত থেকে রক্ষা পেতে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিভিন্ন হাট-বাজারে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা এখন জমজমাট। শহরের মার্কেট ও হাট-বাজার ঘুরে পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়ছে এমন দৃশ্য। বিশেষ করে এর সিংহভাগ ক্রেতাই হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিভিন্ন রিকশা বা ভ্যানচালক ও বিভিন্ন শ্রমিকরা দেদার এ কাপড় কিনে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন।
গাইবান্ধা শহরের পিকে বিশ্বাস, পার্ক রোড়, স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ, ডিবি রোডের মহিলা কলেজ সংলগ্ন রাস্তার দুই ধারে ও ডিসি অফিস এলাকায় পুরাতন জ্যাকেটসহ শীতের কাপড়ের দোকানগুলোয় এসব ক্রেতাদের গরম কাপড় কিনতে দেখা গেছে। পুরাতন কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন পুরাতন গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধির কারণে বেশ স্বস্তিতে আছেন তারা। ফুটপাতের এসব দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা সস্তায় কিনছেন পুরোনো কাপড়। বিভিন্ন স্থানে পুরাতন কাপড়ের মধ্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, গরম টুপি, ছোট ও বড়দের ব্লেজার, বিভিন্ন ডিজাইনের মাফলার বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ধরনের পুরাতন জ্যাকেট, ১০০-২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোটা গেঞ্জি, সোয়েটার ও চাদর পাওয়া যায় ১০০-৩৫০ টাকার মধ্যেই।
রিকশাচালক হুমায়ন বলেন, দুইদিন প্যাডেলে চাপ দেওয়া যাচ্ছে না। রিকশার ছাড়লে শিরশির করে শরীলোত বাতাস ঢোকে। আর গাউ কোনা ঝাঁকি দিয়ে উঠে। দুকনা ছলসহ বাড়িত চারজন খানেওলা।
গরম কাপড় ক্রেতা শাহীন বলেন, কত দুদিন থেকে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। শহরের নামি-দামি মার্কেটে গরম কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তাই আয়ের সাধ্যমতে কেনার জন্য ফুটপাতে এসেছি।
আরেক ক্রেতা লাইজু বলেন, হঠাৎ করে অতিমাত্রায় ঠান্ডা পড়ায় সবাই একসঙ্গে গরম কাপড়ের দোকানমুখি হয়েছে। কাস্টমারের ভিড়ে দোকানদাররা কাপড়ের দাম বেশি চাচ্ছে।
শহরের ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড় বিক্রেতা নয়ন বলেন, পুরাতন কাপড়গুলো কম দামে পাওয়া যায় বলে কাস্টমার পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন নিম্নআয়ের মানুষ, রিকশা-ভ্যানচালক যাদের আয় কম তারাই এসব গরম কাপড় কেনেন বেশি। এসব পুরোনো গরম কাপড় বেশ আরামদায়ক বলেও জানান তিনি।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com