বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলায় সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে ধান-চাল সংগ্রহ মুখ থুবরে পড়েছে । গত এক মাসে সরকারি ভাবে ৫৫৩ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে শুন্য এর কোঠায়। ফলে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে সংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় সরকারি ভাবে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসমে ৩৩ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৩শ ৫৫ মেট্রিকটন ধান সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করার লক্ষে ও ৪৭ টাকা কেজি দরে ১৩ হাজার ৩৩৮ মেট্রিকটন চাল মিলারদের নিকট থেকে ক্রয় করার জন্য গত বছরের ১৭ নভেম্বর ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। মিলারদের সাথে চুক্তি করায় চুক্তি অনুযায়ী উদ্বোধনের দিন থেকে এ পর্যন্ত গত এক মাসে ৫৫৩ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আর কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হযেছে। বতমান পর্যন্ত ধান সংগ্রহ শুন্যও কোটায় । আগামী ২৮ ফেরুয়ারী পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের নির্ধারিত সময় রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে মিলারদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার আসা থাকলেও সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে স্থাানীয় বাজারে দেড় থেকে দ্ইু শ’ টাকা ধানের দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে ধান সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবরে পরেছে।
সরকার ৩৩ টাকা কেজি দরে ধানের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে স্থাানীয় বাজারে মন প্রতি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা ধানের দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় খোলা বাজারেই ধান বিক্রি করছেন। ফলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছে না কৃষকরা।
সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে পারছেন। এ ছাড়া ধান বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে টাকা পেয়ে থাকেন। গৃহস্তরা বাজাওে সেভাবে বেচা-বিক্রি করছেনা,আমদানী কম থাকায় ধানের দাম বাজাওে বেশী ।
গাইবান্ধা জেলা ধান উৎপাদন এর দিক থেকে ভালো। এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে, ধান-চাল সংগ্রহের জন্য প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে । আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে।