মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ীতে শুভ উদ্বোধনের প্রায় দেড়বছর সময় কাল পেরিয়ে গেলেও এখনো নামাযের জন্য প্রস্তুত নয় দৃষ্টিনন্দন পলাশবাড়ী মডেল মসজিদ। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের দাবী গণপূর্ত বিভাগের খামখেয়ালিপনা ও অব্যাহত গাফিলতির কারণে নামাযের জন্য আদৌ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান জানান, মসজিদটির ভারি কাজ সমূহ সম্পন্ন হলেও এখনো নানা কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয়ে উঠছেনা নামায আদায়। সর্বোপরি তিনি জানান সর্বশেষ খুঁটিনাটি বিষয়সম্পর্কে বাস্তবায়ন কারী গণপূর্ত বিভাগে জানানো হলেও অবশিষ্ট কাজ সমূহ সম্পন্ন করতে তারা গড়িমসি করছে। এসব কারণে আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগে ইতেপূর্বে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিলো। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ মসজিদটির কার্যক্রম শেষ না করায় নামায শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে মসজিদটি এখনো আমাদের নিকট হস্তান্তর করেননি। ফলে নিয়োগের বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদ চত্বর জুড়ে চোঁখে পড়ে অসংখ্য বেওয়ারিশ কুকুরের আনাগোনা। কুকুরদলের অবাধ বিচরণের বিষয়টি স্থানীয় সচেতন ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবমাননাকর এমন দুরাবস্থায় বিষয়টি স্থানীয় জনমনকে ভাবিয়ে তুলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার প্রতিক্রিয়ায় আরো জানান, তিনি মসজিদটির সার্বিক কার্যক্রম শুরু করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে নামাযসহ সার্বিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন। মসজিদ ভবন পেইন্ট এবং দরজা জানালাসহ আনুষাঙ্গিক অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
মসজিদটির সর্বশেষ জানতে গণপূর্ত বিভাগ গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রফিকুল হাসান এর মুঠো ফোনে (০১৮৮২ ১১৫৩৩০) একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কল রিসিভ না করায় শেষ পর্যন্ত এবিষয়ে কোনকিছু জানা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য; নির্মাণ কাজসহ যাবতীয় কাজ অসম্পন্ন রেখেই গত বছরের ৩০ জুলাই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন করা হয়। এদিন সারাদেশে ৫ম পর্যায় পলাশবাড়ীসহ নির্মাণাধীন ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়।
কিন্তু; বড়ই পরিতাপের বিষয় উদ্বোধনের ১৬ মাস পেরিয়ে গেছে। মসজিদটি এখনো চরম অযত্ন আর অবহেলায় ধর্মীয় কার্যক্রমহীন স্থবির হয়ে পড়ে রয়েছে। ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ ক্ষুব্ধ সচেতন এলাকাবাসী দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে নামায-বন্দেগীসহ অন্যান্য কার্যক্রম শিগগির শুরু করতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্ত্যাব্যক্তির যথাযথ প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।