মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সাদুল্লাপুরে বেগুন ক্ষেতে মোজাইক ভাইরাস: দুশ্চিন্তায় কৃষক কামারপাড়া কলেজে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস গাইবান্ধা সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস পলাশবাড়ীতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী সাঘাটায় রূপচাঁদার নামে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত পিরানহা! সাদুল্লাপুর শতবর্ষী বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত খোলাহাটীতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন কামারজানীতে সামাজিক উন্নয়ন পদক্ষেপ কলেজে নবীণ বরণ অনুষ্ঠান তুলসীঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল শ্রমিকের গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে কলার আবাদ

গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে কলার আবাদ

স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে কলার আবাদ। বিভিন্ন জাতের কলা চাষে সচ্ছলতা ফিরেছে কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে।
স্বল্প খরচে লাভজনক হওয়ায় গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে কলার আবাদ। বিভিন্ন জাতের কলা চাষে সচ্ছলতা ফিরেছে কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে। গত বছর জেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮ হেক্টর। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গাইবান্ধার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের উপযোগী। এ অঞ্চলের কৃষক বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করছেন। খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় ফলটি উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। আগামীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কৃষকরা বলছেন, কলা চাষে খরচ কম, তবে লাভ বেশি।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর খরিপ-১ ও রবি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে খরিপ-১ মৌসুমে ২৫৫ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে ৭৬৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়, ৩৬৩ হেক্টর জমিতে। এছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলায় পাঁচ, সাদুল্যাপুরে ৭০, পলাশবাড়ীতে ১৫০, সুন্দরগঞ্জে ১২০, সাঘাটায় ৫১ এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাসিতলা অস্থায়ী হাটে কলা বিক্রি করতে আসা মেহের আলী বণিক বার্তাকে বলেন, দীর্ঘদিন কলার আবাদ করছি আমি। অল্প খরচে লাভ বেশি। আকার ভেদে একটি কলার ছড়া ১৫০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়, যা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানো হয়।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, কলা চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছর আবাদ কিছু কিছু করে বাড়ছে। চলতি বছর খরিপ-১ ও রবি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। আগের বছর ৭৬০ হেক্টর আবাদ হয়েছিল। কলার আবাদ আরো বাড়বে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com