মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ জমি অধিগ্রহন কিংবা ক্ষতিপুরণ না দিয়ে মালিকানাধীন কৃষি জমির ওপর জোরপূর্ব ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সাঘাটা উপজেলার বলিয়ারবেড় বাঙালি নদীর ওপর পিসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় আসাদুল নামের একজন কৃষকের ব্যক্তি ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তার জমির ক্ষতিপুরণের জন্য আদালতে মামলা দায়েরসহ প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাঘাটা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঙালী নদীর ওপর ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
বিগত ২০২০ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এমপির মাধ্যমে ব্রিজটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ঠিকাদার মইন উদ্দিন বাশি রাজ কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিদাদার আলহাজ বাবু মিয়া ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। এ ব্রিজটির একাংশ স্থানীয় আসাদুল ইসলাম নামে একজন কৃষকের কৃষি জমির ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষক আসাদুল জানান, ব্রিজটি নির্মাণের সময় জমির ওপর ব্রিজের গার্ডার নিমাণে বাধাদেন করি । এ সময় কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ার এসে আমার জমির উপযুক্ত পরিমান ক্ষতিপুরণ দেয়ার আশ^াস দিয়ে কাজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে তাকে ক্ষতিপুরণ না দিয়ে ঠিকাদার টালবাহনা করতে থাকলে আসাদুল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে ঠিকাদারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক আসাদুল এবং তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করার হুমকি দিতে থাকেন। আসাদুল ইসলাম ভয়ে আদালতের মামলা প্রত্যাহার করেন। এদিকে ঠিকাদার স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের মাধ্যমে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। আসাদুল জানান পরবর্তীতে আবারো আদালতে মামলা দায়ের করেছি, যা এখনো চলমোন আছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারের প্রতিনিধি রাব্বী মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান ঠিকাদার সাহেব দেশের বাহিরে আছেন ওনাকে এখন পাওয়া যাবেনা। এলজিইডির আওতায় ব্রিজের জন্য জমি অধিগ্রহনের কোনো সুযোগ নেই। তবে জমির মালিক আসাদুলকে জমির ক্ষতিপুরণের টাকা দিতে চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তিনি অধিক টাকা দাবি করার কারণে বিষয়টি তার সাথে নিরসন হয়নি। তার হটকারিতার কারণে ঠিকাদেরের ৪০ লাখ টাকা লস হয়েছে। এখন আইনে যা হয় তাই হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের একটামাত্র গার্ডার কৃষক আসাদুলের জমির ওপর পরেছে। এজন্য এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তার দাবি বেশি হওয়ায় বিষয়টি নিরসন হয়নি।