মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় গ্রামের পান ব্যবসায়ী মজনু সরকারের পুত্র শিবলু সরকার প্রতিবেশী রহীম এবং মর্জিনার কলেজ পড়ুয়া কন্যার সাথে তিন বছর ব্যাপী বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মত শারীরিক সম্পর্ক করেও বিয়ে না করায় কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা। পরে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রকাশ, সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের বল্লমঝাড় গ্রামের পান ব্যবসায়ী মজনু সরকারে পুত্র মোঃ শিবলু সরকার প্রতিবেশী আকন্দ পাড়া এলাকার রহীম মিয়া ও মর্জিনা দম্পতির কলেজ পড়–য়া কন্যার সাথে তিন বছর পুর্বে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড় তোলে। বিষয়টি কলেজ ছাত্রীর বাবা মা টের পেয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
কিন্তু ধুরন্ধর শিবলু সরকার মোবাইলে তাদের প্রেম জিইয়ে রাখে। সেই সুবাদে প্রায় প্রায় শিবলু সরকার মেয়েটিকে মোবাইলে ডেকে এনে একই কায়দায় শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে থাকে।
এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিবলু সরকার কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে ঢাকা থেকে বাড়িতে ডেকে আনে। ওই দিন দিবাগত আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে শিবলু সরকার কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে এসে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আবারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং পরেরদিন সকালে বিয়ে করবে বলে চলে যায়। কিন্তু শিবলু সরকারের পিতা মজনু সরকার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অন্যত্র শিবলু সরকারকে বিয়ে করায়।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উক্ত কলেজ ছাত্রী জানান, আমি মোবাইলে শিবলু সরকারের সাথে কথা বললে শিবলু সরকার আমায় বলেন, বাবা-মা জোর করে অন্যত্র বিয়ে করিয়েছে। তারপরও আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।
পরবর্তিতে বাড়িতে গিয়ে মনের দুঃখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্কুল ছাত্রী। এ সময় গোঙানির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে এ যাত্রা থেকে রক্ষা করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।