মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

সুন্দরগপঞ্জ টানা বর্ষণে রাস্তায় গর্ত ঝুকিতে পথচারি ও যানবাহন

সুন্দরগপঞ্জ টানা বর্ষণে রাস্তায় গর্ত ঝুকিতে পথচারি ও যানবাহন

সুন্দরগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ গত ১০ দিনের টানা ভারি বর্ষণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৭৩৯ কিলোমিটার কাঁচা ও পাকা রাস্তায় অসংখ্য গর্ত এবং ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারনে অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারি ও যানবাহন। বিশেষ করে বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারি স্কুল ও কলেজগামি শিক্ষার্থী এবং রাতে অন্ধকারে পথচারিদের চলাচল মারাত্বক হুমকির কারন হয়ে দাড়িরেছে রাস্তার গর্তগুলো। এর আগেও বৃষ্টির তোরে অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। উপজেলা প্রশাসন এমনকি জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ হতে রাস্তার গর্ত মেরামতে তেমন কোন সারা মেলেনি। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ছোটখাট অনেক গর্ত মেরামত করেছেন। এলাকাবাসির দাবি বৃষ্টির কারনে রাস্তার গর্ত বা ধসগুলো মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর হতে জানা গেছে, ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরিসর। উপজেলায় ৭৩৯কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এরমধ্যে ৩২০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। বাকী ৪১৯ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। অনেক পাকা রাস্তায় মেরামত ও কাজ চলছে। পৌর শহরের রাস্তা সমুহ স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বে। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বৃষ্টির তোরে ৭৩৯ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় এক হাজার স্থানে গর্ত বা ধসের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা রাস্তার গর্ত বা ধসে যাওয়া স্থানে সর্তকবার্তা হিসেবে গাছের ডাল, বাঁশের খুঁটির মধ্যে লাল কাপড় ঝুলিয়ে দিয়েছেন যাতে করে পথচারি ও যানবাহন সমুহ দূর্ঘটনার কবলে না পরে।
গ্রাম-গঞ্জের কিছু রাস্তা পৌর শহরের সড়কের চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি ব্যাটারী চালিত আটো চালক শাহ আলম মিয়ার। পৌরবাসি একদিন আটো বা রিকসায় চড়লে পরেদিন আর চড়তে চায় না, বুকে ব্যাঁথা হবে বলে। সামন্য বৃষ্টি নামলেই হাঁটু পানি। অসংখ্য গর্তে ভরা গোটা পৌর সড়কগুলো।
টানা বর্ষণে অসংখ্য গর্ত বা ধসের সৃষ্টি হওয়ার কারনে এমনকি মাটি খুঁয়ে যাওয়ায় উপজেলার সবগুলো কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে বলেন তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন বৃষ্টি হলে কাচা রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করা দায়। সেই সাথে বৃষ্টির তোরে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারি ও যানবাহন সমুহ। কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট দূর্ঘটনা। বিগত ১৫ বছর আগে কাচা রাস্তা সংস্কার ও মেরামতের জন্য প্রতিবছর কাবিখা (কাজের বিনিময় খাদ্য ও কাজের বিনিময় টাকা) প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল। এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।  কাচা রাস্তাগুলো প্রতিবছর মেরামত না করার কারনে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে দাবি তাঁর।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, এই মহত্বে কোন প্রকার বরাদ্দ নেই। তাছাড়া কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা ইচ্ছে করলে বর্ষণের কারনে ছোট খাট গর্ত বা ধস মেরামত করে দিতে পারেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরপন করে তালিকা পাঠানো ছাড়া কোন কিছু করার নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নাফ বলেন, পাকা সড়কে যে সব গর্ত বা ধসের সৃষ্টি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দফায় দফায় টানা বর্ষণে রাস্তায়গুলোতে যে সব গর্ত বা ধসের সৃষ্টি হয়েছে তা মেরামত করার মত কোন বরাদ্দ নেই। আর বর্তমানে কাঁচা রাস্তার মেরামতের জন্য পূর্বের ন্যায় কো প্রকার প্রকল্পও নেই।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com