সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাজারের ব্যাগ তৈরি করে ভাগ্য খুলেছে গৃহবধূ সাজিনার (২৮)। নিজের সঙ্গে স্বাবলম্বী করেছেন গ্রামের পাঁচ শতাধিক অবহেলিত নারীকেও। হাঁস বিক্রির মাত্র ১৬০০ টাকা দিয়ে পুঁজিতে শুরু করা এ ব্যবসা থেকে এখন প্রতিমাসে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা আয় করছেন গৃহবধূ সাজিনা বেগম।
জানা যায়, ২০০৮ সালে পলাশবাড়ির বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর ডিলারপাড়া গ্রামের মোনারুলের (৩৫) সঙ্গে বিয়ে হয় সাজিনা বেগমের। তবে বিয়ের পর থেকে আর্থিক টানাপড়েন ছিল তার নিত্যসঙ্গী। হঠাৎ একদিন পাশের গ্রামে ব্যাগ তৈরি দেখে তিনিও সিদ্ধান্ত নেন এ কাজ করার। যেমন চিন্তা, তেমন কাজ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে (বিআরডিবি) প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেন এই গৃহবধূ। ঘরে মাত্র ১৬০০ টাকা দিয়ে শুরু করলেও পরে ঋণ নিয়ে কাজের পরিধি আরও বাড়াতে থাকেন। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর ডিলার পাড়ার গ্রামের গৃহবধূ সাজিনাকে।
পর্যায়ক্রমে ব্যাগের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের অন্যান্য নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যাগ তৈরির কাজে নিযুক্ত করেন। এক পর্যায়ে ব্যাগ তৈরির কারখানা দেন সাজিনা। আর এ কাজে সবসময় পাশে ছিলেন স্বামী মোনারুল। সাজিনার এমন সফলতা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়। গ্রামটি এখন অনেকের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে ব্যাগের গ্রাম নামে। গ্রামে অন্য নারীদের কাছে তিনি অনুকরণীয় বলে জানান স্থানীয়রা।
তৈরিকৃত এসব ব্যাগ শুধু নিজ জেলায় না রংপুর, বগুড়ায়, হিলি, সৈয়দপুর, পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তবে ব্যাগের চাহিদা বেশি থাকলেও পুঁজি কম হওয়ায় আশানূরুপ উৎপাদন করতে পারছেন না সাজিনা। তাই সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে ব্যাগ তৈরি করে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।