সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পানি নেমে গেলেও সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে উঠতি আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হচ্ছে। গত সাত দিনের ব্যবধানে উপজেলা কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে ১০টি বসতবাড়ি তিস্তায় বিলিন হয়ে গেছে ও ১৫টি বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে এবং ১০০টি বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত সোমবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের উত্তর লালচামার গ্রামে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙন পরির্দশন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবিব, গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক, ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ ।
উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ালে বা কমলে এমনকি বন্যা দেখা দিলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। যে ভাঙন চলতে থাকে মাসের পর মাস। নদী পাড়ের মানুষের অভিযোগ, সরকার স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি নদীতে বিলিন হচ্ছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তা নদ তে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি বসতবাড়ি শতাধিক বিঘা জমির আমনক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়ে গেছে অন্তত ৭০টি পরিবার। ভাঙনের মুখে পড়েছে শতাধিক বিঘা ফসলি জমিসহ ১০০টি বসতবাড়ি। তার ভাষ্য নদীতে পানি বাড়লে অথবা কমলে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। চরের মানুষ এখন ত্রান চায় না, তারা স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙন রোধ চায়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, গত সোমবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এই মহুত্বে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা ছাড়া আর কোন প্রকল্প হাতে নেই। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের উপর মহলের সিদ্ধানের ব্যাপার।