সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ জামানত ও বেতন-ভাতা পরিশোধ না করার অভিযোগে গাইবান্ধায় সাকিব ট্রেডার্স লিমিটেডের ঠিকাদার শাহ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন সদর হাসপাতাল ও কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মচারীরা।
গত শুক্রবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার নারায়নপুর জামতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই ঘন্টা যাবত অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক হারুন।
এর আগে সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর ও রংপুরের পীরগঞ্জসহ বেশ কিছু উপজেলা থেকে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা এসে হারুনের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় তারা দ্রুত জামানত বাবদ অর্থ ও বেতন-ভাতা টাকা পরিশোধের দাবি জানান। এসময় ঠিকাদার হারুনের লোকজনের হাতে এক কর্মচারী মারধর শিকার হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে ১৪ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি একেকজন আউটসোর্সিং কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত নিয়ে তাদের ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি থাকবে বলে জানান। প্রতি মাসে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির অবহেলার কারণে তাদেরকে ১-২ বছর পর বেতন প্রদান করা হয়। তবে বেতন প্রদানের সময় তিনি প্রত্যেক আউটসোর্সিং কর্মচারীর কাছ থেকে ক্রস চেকের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা কেটে নিতেন বলে অভিযোগ। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই তার নিজ মতামতের ভিত্তিতে ৮ মাস বেতন বাকি রেখে ১৪ জন কর্মচারীকে বের করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরইমধ্যে হারুনের এসব প্রতারণার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সদর হাসপাতালের ১৪ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে সাকিব ট্রেডার্স লিমিটেডের ঠিকাদার শাহ মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, তারা আমার কোন কর্মচারী না। আমি তাদের চাকরি দেইনি আমি। যাদেরকে চাকরি প্রদান করেছি তারা নিয়মিতই টাকা পাচ্ছে। সর্বমোট ৭২ জনকে চাকরি প্রদান করেছি। এখন যারা এসব বলছে এগুলো ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।