সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

ভাদ্রের তালপাকা গরমে গাইবান্ধায় ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং

ভাদ্রের তালপাকা গরমে গাইবান্ধায় ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং

স্টাফ রিপোর্টারঃ ভাদ্রের তালপাকা গরমে গাইবান্ধায় চলছে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং। সারাদিনে লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা এবং গৃহস্থালীর কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা।
লোডশেডিং হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনেও। প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন জেলার পাঁচ উপজেলার অনেক এলাকায় রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। এ কারণে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
গাইবান্ধা শহরের ইসলাম প্লাজা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী রনি ইসলাম বলেন, দিনে লোডশেডিং কম হয়। সন্ধ্যা হলেই লোডশেডিংয়ের মাত্র বেড়ে যায়। ভ্যাপসা গরমের কারণে ক্রেতারা দোকানে আসতে চান না। এসময় পণ্য বেচা-বিক্রি একেবারেই কমে যায়।
শহরের মুন্সি পাড়ার বাসিন্দা হাবিব বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ সন্ধ্যা হলেই লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। গরমে ঘরে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। যাদের সমর্থ্য আছে তারা আইপিএস ব্যবহার করে গৃহস্থলীর কাজ সারেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে না। যাদের আইপিএস কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌর এলাকার গৃহিণী সিদ্দিকা কামাল নাজু বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। গরমের কারণে রাতে ঘুমাতে পারি না। দিনের বেলায় বিদ্যুতের তেমন সমস্যা না হলেও রাতে বার বার লোডশেডিং হচ্ছে।
গাইবান্ধা শহরের ব্রিজরোড এলাকার ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী তৈয়ব মিয়া বলেন, বিদ্যুতের ওপরই মূলত আমাদের ব্যবসা। বিদ্যুৎ ঠিক মতো না পাওয়ায় আমাদের অনেক কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। ফলে সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারিনা।
নেসকো গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা এবং সরবরাহ প্রায় সমান থাকে। ফলে দিনে তেমন লোডশেডিং হয় না। বিদ্যুতের সরবরাহ বর্তমানে ১১ মেগাওয়াট। চাহিদাও প্রায় একই রকম। রাতে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চাহিদা বেড়ে যায় বিদ্যুতের। তখন কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন এন্ড মেইনটেইন) ফারুক হোসেন বলেন, গাইবান্ধার পাঁচ উপজেলার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে হয় আমাদের। বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে আমরা সরবরাহ পাচ্ছি ৩৫ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমাদের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com