সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের দাবীতে ৮দিন ধরে গৃহবধুর অনশন

গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের দাবীতে ৮দিন ধরে গৃহবধুর অনশন

স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের পল্লীতে সাহিদা বেগম নামের এক গৃহবধু একই গ্রামের খাইরুল নামে এক যুবকের বাড়ীতে ৮ দিন ধরে অনেশন করছে। অভিযুক্ত যুবক খাইরুল ইসলাম হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ও প্রভাবশালী হওয়ায় কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে ঘটনা ধামপাচা দেয়ার পায়তারা করায় সমাজপতিরা অসহায় হয়ে পড়েছে বলে জানান।
গত রবিবার রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হরিরামপুর ইউপির রামপুরা গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন নিরুপায় হয়ে বাদী খাইরুল ইসলাম (৩০) কে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের জবেদ আলী প্রধানের ছেলে হারুনুর রশিদ পেশায় অটো চালক দরিদ্রতার কষাঘাতে পেশাগত কারনে ঢাকায় বেশীর ভাগ সময় অবস্থান করে। তার পরেও স্বামীর ঘর-সংসার বেশ কয়েক বছর ভালোই চলছিল। এই ঘর সংসার চলাকালে তার স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে প্রায়ই প্রতিবেশি অভিযুক্ত খাইরুল নানাভাবে ফুসলাইয়া বিয়ের প্রলোভনে একাধিক দিন শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের মধ্যে। তার পরেও বিয়ে না করে তালবাহানা করতে থাকে। এরি এক পর্যায়ে ঘটনার দিনগত রাত ৮টার দিকে বসতঘরে অনুপ্রবেশ করে ঝাপটে ধরে পড়নের কাপড় টানা হেচড়ায় ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় ভুক্তভোগীর আত্মচিৎকারে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘরের পশ্চিম পাশের টিনের বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।
গৃহবধু সাহিদা বেগম জানান, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে খাইরুল একাধিক দিন শারীরিক সম্পর্ক করে। এ নিয়ে জানাজানি হলে সমাজে বিচার বসে কিন্ত তারা বিচার না মেনে প্রভাবশালী হওয়ায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামপাচা দেয়ার চেষ্টা করায় সমাজপতিরা অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ে ৮দিন ধরে অনেশন করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাইরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বিপ্লবকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে তার বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে এস,আই নজরুল ইসলাম বলেন, ছেলে বলছে এক ধরনের কথা, মেয়ে বলছে এক ধরনের কথা,তাই আমরা সতত্যা যাচাই-বাছাই করছি,ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো। ঘটনা ধামপাচা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি শুনেছি, ছেলে পক্ষ ২লাখ টাকা দিয়ে মিমাংসার অফার দিয়েছে। আমি কোন ঘটনা ধামপাচা দেয়ার চেষ্টা করিনি।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান শামীম সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com