বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণ গাইবান্ধা পৌরসভার নগর মাতৃসদন কেন্দ্রের ভার্চুয়াল উদ্বোধন সুন্দরগঞ্জ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উদ্বোধন সাঘাটায় অবৈধ বালু উত্তোলন : প্রশাসনের অভিযানে ব্যবসায়ীর ৫ লাখ টাকা জরিমানা গোবিন্দগঞ্জে (অব.) সশস্ত্র বাহিনী ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় ফুলছড়িতে কিন্ডারগার্টেনে সহপাঠীদের হাতে শিক্ষার্থী নিগ্রহের অভিযোগ ঘাঘট নদীতে শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার সাদুল্লাপুরে বেগুন ক্ষেতে মোজাইক ভাইরাস: দুশ্চিন্তায় কৃষক কামারপাড়া কলেজে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস গাইবান্ধা সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস

৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ আজ ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৫৩ বছর আগে শত্রুমুক্ত হয়ে প্রত্যাশিত বিজয় এসেছিল পলাশবাড়ীর সর্বত্র। স্থানীয় প্রেক্ষাপটে দিনটি বড়ই বেদনা বিঁধুর। পাক হানাদার বাহিনী পতনের পর এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির বিজয় উল্লাস। উচ্ছ্বসিত আনন্দে উদ্বেলিত বজ্রকন্ঠে বিজয় উৎসবের খন্ড খন্ড কাফেলা গগনবিদারী জয় বাংলা-জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পলাশবাড়ীর আকাশ বাতাস সর্বত্র। সেদিনের জনমানুষদের অনেকেই বেঁচে নেই আজ। বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীকার যুদ্ধে অংশ নেয়াদের মধ্যে অধিকাংশই আজ পরলোকগত। বর্বর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় নিষ্ঠুর দোসরদের হাতে কত মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন-কত মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য আজোও কেউ জানে না। হানাদার বাহিনীর কসাইরা কথা বলতো আগ্নেয়াস্ত্রের বায়োনেট দিয়ে এবং হাসতো মেশিনগানের ব্রাশফায়ারে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে তাজা রক্ত ঝরিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেছে। এত বছরে নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছাড়া জানা অজানা বহু গণকবর ও বধ্যভূমি এখনো নিশ্চিহ্ন প্রায়। ইতোমধ্যেই বহু গণকবর ও বধ্যভূমির ঠিকানা এবং নাম নিশানা পর্যন্ত মুছে ফেলা হয়েছে। সেইসব স্থান হয়তো আবাদি জমি হিসেবে চাষবাস কিংবা গড়ে উঠেছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠেছে অট্টালিকা, দালান-বাড়ি। অযতেœ-অবহেলায় অনেক গণকবর আজ বন জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে। দিন-মাস-বছর ও যুগ পেরিয়ে গণকবরগুলো আজ নিশ্চিহ্ন। চলে গেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পিয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে ‘পাকিস্তানী হানাদার প্রতিরোধ’ নামীয় একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হয়। গোটা মার্চ মাস জুড়ে যুদ্ধের দামামায় পলাশবাড়ী এলাকা ছিল উত্তাল।
ভীতিকর চরম উত্তাল দিনগুলোতে পাকবাহিনীসহ তাদের দোসররা মুক্তিকামী বীর সেনাসহ ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পাকবাহিনী সেদিন পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী নারিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎসময়ের প্রধান শিক্ষক গর্বিত পিতা আব্দুল আজিজ ও মমতাময়ী গর্বিত মা ফাতেমা বেগম দম্পতির বীর সন্তান লেফঃ রফিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পার্শ্ববর্তী ভারতে শরনার্থী হয়ে প্রবেশ করেছিল এদেশীয় ৩৫ হাজার নর-নারী ও শিশু। তৎসময়ে ২ কোটির্ধ্ব টাকা মূল্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়ী-ঘর ও গচ্ছিত সম্পদ জ্বালিয়ে বিনষ্ট করেছিল। পাকবাহিনীর নানা শিঁহরিত ও লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ চালানোর এক পর্যায় সেদিন ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ ভোরের আলোর সাথে জয়বাংলা জয়বাংলা শ্লোগানের ধ্বনিতে গোটা পলাশবাড়ী এলাকা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com