শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

২০ গ্রামের মানুষের শেষ ভরসা ভেঙেই পড়ল সুন্দরগঞ্জের সেই বাঁশের সাঁকো

২০ গ্রামের মানুষের শেষ ভরসা ভেঙেই পড়ল সুন্দরগঞ্জের সেই বাঁশের সাঁকো

স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জে নদী পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সেতু নির্মাণের দাবি করলেও দীর্ঘদিন পরও নির্মাণ হয়নি সেতু। এলাকার মানুষ নিজেদের অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেন একটি বাঁশের সাঁকো। সপ্তাহখানেক ধরে শেষ ভরসাটিও আর নেই। ভেঙে পড়েছে সেই বাঁশের সাঁকো। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ২০ গ্রামের হাজারও মানুষের চলাচল। এমন দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামে। জানা যায়, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নে খোর্দ্দা গ্রামের বুড়াইল এলাকায় তিস্তার শাখা নদীর ওপর স্থানীয় জনগণ নিজ উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন; যা দুই বছর পর পর নতুন করে নির্মাণ করতে হয়। এই সাঁকোটি তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কারও করে আসছিলেন। উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা, চর খোর্দ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ বুড়াইল সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। দুই উপজেলার মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র ভরসা হচ্ছে এই বাঁশের সাঁেকা। এছাড়া স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর উপর দিয়ে। সপ্তাহখানেক আগে সেই বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে। সেই সাথে ভেঙ্গে পড়ে ২০ গ্রামের মানুষের শেষ ভরসা। তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর সাঁকোটি মেরামত করতে হয়। তারাপুর ইউনিয়নে কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ হতে সাঁকোসমুহ মেরামত করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তারপরও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় প্রতিবছর সাঁকোসমুহ মোরমত করা হয়ে থাকে। এ বছর মেরামত করতে না পারায় সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে। উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফীন জানান, যেখানে সাঁকো রয়েছে সেখানেই স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই ব্রিজগুলো নির্মাণ করা হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আল-মারুফ জানান, প্রতিবছর বন্যায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরকারিভাবে মেরামতের জন্য তেমন কোন বরাদ্দ পাওয়া যায় না। তারপরও বিভিন্নভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় বাঁশের সাঁকোসমুহ মেরামত করার কথা বলা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com