ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের ধাপেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের প্রবেশদ্বার পাকা রাস্তাটি ৩টি হোটেল রেস্তোরার পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে তলিয়ে আছে। দির্ঘদিন যাবৎ জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি ময়লা পানিতে ডুবে থাকায় হাজার হাজার পথ চারি চরম দূর্ভোগে জীবন যাপন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর নেই। নেই কোন সুরাহা। ধাপেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে অবস্থিত এ স্থানটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী হাটুরে লোকজন এসব পঁচা পানির মধ্যে অতিকষ্টে নাকে রুমাল/কাপড় দিয়ে চলা ফেরা করছে। ঐ সকল পঁচা পানির দূর্গন্ধে আসপাশের ব্যবসায়ীসহ লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার কেউ কেউ দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে দোকান পাট বন্ধ করে রেখেছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে লেখা লেখি করেও বিষয়টির স্থায়ী সমাধান সম্ভব হয়নি। মহাসড়ক থেকে পানি নিস্কাশনের ড্রেনটি ময়লা আর্বজনায় ভরে উঠেছে। ধাপেরহাট বন্দরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত জনপ্রিয় হোটেল ও সুগন্ধা হোটেলের পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় হোটেল মালিকগন ওই ছোট ড্রেনে তাদের হোটেলের পঁচা বাসি ছেড়ে দেয়ার কারনে ড্রেন উপচে রাস্তার উপরে উঠেছে পানি। এই পঁচা পানি আস্তে আস্তে তিন দিনের ব্যবধানে মহাসড়কের উপরে চলে গেছে। পঁচা পানির রাস্তা দেখে মনে হয় যেন অসমায়ে বন্যা এসেছে ধাপেরহাটে। ধাপেরহাট কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন আর রশিদ আক্ষেপ করে বলেন,এ রাস্তা দিয়ে কোন কাষ্টমার তার দোকানে আসছেনা,বিষয়টি সাদুল্লাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন সূরাহা হয়নি। এখন ভাবছি ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করেই রাখব। পচা পানির দূগন্ধে দোকানে বসে থাকতে পারি না। ধাপেরহাট ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন মন্ডল হিরু জানান, এর আগে কয়েকবার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ড্রেন পরিস্কার করে নিয়েছি ক’দিনের মধ্যেই আবার হোটেলের পানি এসে ড্রেন গুলি উপচে যায়। কর্তৃপক্ষকে বলেও কোন কাজ হচ্ছে না। পরিকল্পিত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্য দিন দিন আরও ঘনিভূত হচ্ছে। কথা হয়: ৬নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশা মন্ডলের সাথে তিনি বলেন বার বার বলা স্বত্বেও হোটেল মালিকগন তাদের হোটেলে ব্যবহৃত পচা পানি গুলো ড্রেনে আসা বন্ধ করছেনা,এমনকি ড্রেন গুলি পরিস্কার করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। কথা হয় হাট ইজারাদার ও জনপ্রিয় হোটেল রেস্তরার মালিক আব্দুল ওয়াজেদ আলী শাফি মন্ডলের সাথে তিনি বলেন ড্রেন পরিস্কার করা কি আমার একার দায়িত্ব এর আগেও আমি সুইপার দিয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি। তা হলে কেউ নেবেনা এর দায় ভার, এভাবেই চরম দূর্ভোগের মধ্যে ধাপেরহাট বাসি জীবন যাপন করবে কি? বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধ:র্তন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।