শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গোবিন্দগঞ্জে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি রাস্তার গাছ কর্তন সাঘাটায় ক্যামেরার জন্য বন্ধুকে হত্যা সেফটি ট্যংক থেকে লাশ উদ্ধার বন্ধু গ্রেফতার গোবিন্দগঞ্জে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পলাশবাড়ীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত ব্রীজ রোড থেকে রেলের চোরাই লোহা বিক্রির সময় আটক ৩ কারাগারে নারী হাজতিকে নির্যাতন প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি গোবিন্দগঞ্জে ইজিবাইক চালক দুলা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি সুন্দরগঞ্জে আগুনে পুড়ল ২০ লাখ টাকার সম্পদ হলফনামায় তথ্য গোপন করায় ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল কারাগারে অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় নির্যাতন

হারিয়ে যাচ্ছে বসন্তের স্বারক শিমুল -পলাশ !

হারিয়ে যাচ্ছে বসন্তের স্বারক শিমুল -পলাশ !

স্টাফ রিপোর্টারঃ চারদিকে দখিনা বাতাসে আ¤্রমুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। আম্ম্র মুকুল আর শিমুল-পলাশ ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন। আর এই ফুল নিয়ে বাঙালির মাতামাতি বেশ পুরনো। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ভক্তিতে ফুল তুলনাহীন। ফুলের প্রতি প্রেম নেই-এমন মানুষ মেলা ভার। তেমনি পলাশ-শিমৃল ফাগুনের -বসন্তের ভালোবাসার ফুল। বাঙালির সংস্কৃতির আবাহনে হৃদয়কে সাজায় পলাশ-শিমুলের লাল আভা। ইতোমধ্যে পলাশ, শিমুলেরা পাপড়ি মেলে ধরেছে গাছে গাছে। এ ফুলের সৌন্দর্য্যে চারিপাশে যেন সুখকর উৎসবের রোমাঞ্চ বয়ে যায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বসন্তের স্মারক শিমুল, পলাশ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এই ফুল বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত মারফত জানা গেছে, পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে শিমুল এসেছে এই বাংলায়। ইংরেজি নাম সিল্ক কটন। বৈজ্ঞানিক নাম (বোমবাক্স সিইবা)। মালভেসি গোত্রভূক্ত শিমুল ১৮ রকম হারবাল ওষুধে ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। শীতের শেষে শিমুলের পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পরিপক্ক হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো শুকিয়ে যায় এবং তুলা তৈরির উপযোগী হয়। পরিপক্ক হওয়ার অনেক দিন পরও গাছে রাখলে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে তুলা বীজ আর সেখান থেকেই নতুন গাছের জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মত এ গাছ কেউ শখ করে রোপণ করে না। নেওয়া হয় না কোন যত্ন। প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে। এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। আর অন্যদিকে প্রকৃতি তার আপন লীলায় মত্ত হয়ে পত্রহীন গাছের নগ্ন ডালে উজ্জ্বল লাল বাগাড় কমলা রঙের পলাশ ফুটিয়ে মানুষের আদর ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলে। বাংলার হাজার হাজার বৃক্ষরাজির মধ্যে পলাশ অন্যতম। রঙেভরা বসন্তে এই ফুলের বিশাল দখলদারিত্ব। পলাশ মাঝারি আকারের পত্রমোচী দেশীগাছ। তিনটি পত্র নিয়ে যৌগিকপত্র। ফুল ফোঁটে বসন্তে। ৭.৫ থেকে ১০ সে.মি. আয়তনের শিম ফুলের মতো।
তাই আবহমান বাংলার প্রকৃতির রূপ ও দীর্ঘদিনের পাালিত সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে পলাশ-শিমুল গাছ টিকে থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com