বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় সদর উপজেলায় স্ত্রীকে জোর পূর্বক তালাক দিয়ে শ্বশুরের বাড়ি- ঘর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্বামী সাগর মিয়ার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার এক মাসে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুলাই মাসে পারিবারিকভাবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের থানসিংহপুর গ্রামের মিজান মিয়ার মেয়ে সাথী আকতারের সাথে একই গ্রামের মৃত শাহদাৎ মিয়া ছেলে মোঃ সাগর মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। সাথী আকতারের বাবা- মা পোশাক শিল্পে কাজ করে তাদের জমিতে মেয়ের জামাইকে থাকার জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়। এছাড়া মেয়েকে স্বর্ন অলংকারসহ ঘরের আসবাব পত্র কিনে দেয়। সাথী বেগমকে বিয়ের তিন মাস পর থেকেই সাগর মিয়া যৌথকের টাকার জন্য মারধর করতেন। গত জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ রাতে যৌথকের টাকা দাবি করে সাথীকে তার বাবা মার কাছে ফোন দিতে বললে সে অপরগতা জানায়। ওই দিন রাতেই জোর পূর্বক বাড়িতে কাজী ডেকে এনে তার স্ত্রী সাথীকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার শ্বশুরের বাড়ি থেকে বিয়েতে দেওয়া জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং ঘরে তালা ঝুলে দেয়।
ভুক্তভোগী সাথী আকতার বলেন, আমার বাবা- মা গামেন্টর্স এর চাকুরি করে জমি কিনে ঘর-বাড়ি করে আমাকে বিয়ে দেয়। বিয়েতে ঘর সাজানোর জন্য জন্য জিনিস জানা ও আমাকে স্বর্নের জিনিস বানে দেয়। বিয়ে কিছু দিন পর থেকেই আমার স্বামী যৌথকের টাকা দাবি করে মারধর করত। টাকার জন্য আমার বাবা- মাকে আমাকে ফোন দিতে বলতো। আমি ফোনে যৌথকের টাকা না চাওয়ায়, জোর করে আমার কাছ থেকে তালাক নামায় সই করে নিয়ে আমার বাবার বাড়ি থেকে আমাকে জোর পূর্বক বের করে দেয়। আমি পরের দিন গিয়ে দেখি ঘরে তালা দেওয়া। আমাকে হত্যার হুকমি দিলে আমার বাবা- মায়ের কাছে পালিয়ে ঢাকায় যাই।
সাথীর মামা আরিফ মিয়া বলেন, সাগর মিয়া আমার ভাগনীর সাথে অপরাধ করছেন। এই অপরাধের দৃষ্টান্ত মুলূক শাস্তির দাবি করছি।
অভিযুক্ত সাগর মিয়া বলেন, আমি তালাক দেই নাই, আমার স্ত্রীই আমাকে তালাক দিয়েছে। আমি তার বাবার বাড়ি- ঘর লুট করি নাই। তবে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারের সাথে দ্রুত বসে সমাধান করা হবে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযারি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।