সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জেঁকে বসেছে শীত ও ঠান্ডা। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া এবং কন কনে ঠান্ডায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন কাবু হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমুল পরিবাগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারি ভাবে ৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একে বারেই অপ্রতুল। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে গেছে। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারনে স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি শ্রেণির মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। হাট, বাজার, দোকান পাট চলছে ঢিলাঢালা ভাবে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নানাবিধ রোগব্যধির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা,শিশু এবং প্রসুতি মারা অনেক কষ্ঠে রয়েছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারনে যানবাহন চলাচল ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়াফিল মন্ডল জানান, সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত ৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।