বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গুড়ি গুড়ি শিশির কণা, ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া এবং কন কনে ঠান্ডায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় শীতবস্ত্র অপ্রতুল। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে গেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল পরিবারগুলো অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে। পথ শিশু ও পাগলরা দিশা হারিয়ে ফেরেছে। গত এক সপ্তাহ হতে নিন্মচাপের কারনে কন কনে ঠান্ডা শুরু হয়। স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবি এবং শ্রর্মজীবি শ্রেণির মানুষজন যথানিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা অতিকষ্ঠে প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করছে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নানাবিধ রোগব্যধির প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা,শিশু এবং প্রসুতি মারা অনেক কষ্ঠে রয়েছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারনে যানবাহন চলাচল ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৯০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা পাঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!