সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। এর বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়ে মৎস্য খামারি মুনছুর আলী। তার গ্রামে অসংখ্য শিম চাষী । আগাম শিম চাষ করে ব্যাপক লাভবান তারা। মুনছুর আলীর সিম চাষাবাদ করার মত জায়গা জমি ছিল না। অবশেষে তিনি তার মৎস্য খামেরের চার ধারে মাঁচা ঝুলিয়ে চলতি মৌসুমে শিম চাষ শুরু করে। মুনছুর আলী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মৎস্য খামার পরিচালনা করে আসছেন। খামারের ধারে শিম চাষ করে ব্যাপক সারা জাগিয়ে। পাশাপাশি শিম বিক্রি করে ইতিমধ্যে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে মুনছুর আলী। কথা তার সাথে তিনি বলেন প্রতিবছর স্থানীয় কিছু সংখ্যক শিম চাষী আগাম শিম চাষ করে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করে। তাদের দেখে তিনি মৎস্য খামারের ধারে শিম চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন প্রায় এক একর পরিমান জমির মধ্যে তার মৎস্য খামার। ইতিমধ্যে তিনি ১০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। তিনি আশাবাদী এক লাখ টাকার সিম বিক্রি করতে পারবেন। সুন্দরগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ি হামিদুল ইসলাম জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি সিম ৫০ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশিও শিমের চাহিদা অনেক বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে অল্প জমিতে একাধিক সবজি চাষাবাদ করা য়ায়। বর্তমানে অনেক কৃষক তা করে আসছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তালতরকারির চাষাবাদ অনেক ভাল হয়। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চল এখন সবুজের সমারহে ভরে উঠছে।