শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জের খোর্দ্দা গ্রামে বুড়াইল নদীর উপর নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো বৃষ্টির পানির স্রোতের তোড়ে ও কচুরি পানার চাপে ভেঙ্গে নদীতে ভেসে যাওয়ায় দু’পাড়ের মানুষ পারাপার হতে না পেরে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। পারাপার হতে না পেরে জরুরি প্রয়োজনে দু’পাড়ের অনেক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন সাঁতার কেটে। এখন পারাপারের একমাত্র সম্বল নৌকা। ব্রিজ নির্মাণসহ কাচা রাস্তা পাকাকরণের দাবি এলাকাবাসির।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এলাকাবাসি গত ২৬ বছর থেকে ওইস্থানে বাঁশের সাঁকো স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজেদের অর্থে নির্মাণ করে পারাপার হতেন। এ সাঁকো প্রতিবছর এলাকাবাসিই স্বেচ্ছাশ্রমেই মেরামত করেন। বুড়াইল নদী পারাপারের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এ সাঁকোটি। প্রতিদিন শতশত কৃষক, নদীপাড়ের মানুষ ও দুর দুরান্তের যাত্রী সাধারণ এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে আসছেন বিনামূল্যে। এছাড়া নিত্যদিন খোর্দ্দাচর ও লাটশালাচর গ্রামে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও আলীবাবা থিম পার্কের দর্শনার্থীরা এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন। যাতায়াত করতেন স্কুল, কলেজ মাদরাসার শতশত শিক্ষার্থী। বিভিন্ন মালামাল ও কৃষিপণ্য পরিবহন করা হতো এ সাঁকো দিয়ে। এ অবস্থায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষনের ফলে পানির স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। সেই সাথে কচুরি পানার চাপে গতকাল বুধবার বুড়াইল নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটির কিছু অংশ ভেঙ্গে পানিতে ভেসে যায়। এতে পারাপার হতে না পেরে দু’পাড়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-যাত্রার মান বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি।
এ সাঁকোটির পূর্ব ও উত্তরে খোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রাম। এ দুই গ্রামের মানুষসহ পার্শবর্তী উলিপুর উপজেলার মানুষজন সপ্তাহের শনি ও বুধবার উপজেলার সর্ববৃহৎ মীরগঞ্জহাটে যান মালামাল বেচাকেনার জন্য। খোর্দ্দার চরের স্কুলের বাজার, লাটশালার চরের নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরাও মালামাল পরিবহন করতে না পেরে পড়েছেন বিপাকে। খোর্দ্দা ও লাটশালার পূর্ব পাশে তিস্তা নদী। নদী পার হয়ে যাত্রীরা এ সাঁকোটি দিয়েই পারাপার হয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। তারাও পড়েছেন বিপাকে। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরাসহ বুড়াইল নদীর দুই পাড়ের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। খোর্দ্দার চরের বাসিন্দা আ. রাজ্জাক বলেন সরকারিভাবে ব্রিজ নির্মাণসহ খোর্দ্দা ও লাটশালা গ্রামের রাস্তা পাঁকা করা দরকার। কৃষক শাহ আলম বলেন, প্রতিদিন চরে যেতে হয় জমিতে কাজ করার জন্য। তাই দ্রুত ব্রিজ নির্মার্ণের দাবি জানাই। উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। তবে ওইস্থানে ব্রিজ নির্মাণ ও রাস্তা পাকাকরণ কাজে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন তা করা হবে।