মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তায় ভাঙনঃ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে শত শত বসতবাড়ি

সুন্দরগঞ্জে তিস্তায় ভাঙনঃ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে শত শত বসতবাড়ি

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তায় ফের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। চরবাসি এখন হতাশায় দিনাতিপাত করছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারি পাড়া, কারেন্ট বাজার ও পাড়া সাদুয়া গ্রামের ৫০টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। তিস্তার এই ভয়াল রুপ যেন কালের বিবর্তন। দিন রাতের ব্যবধানে চলে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, কাঁচা পাকা সড়ক বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা । ভাঙনের মুখে হাজারও বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙনের শঙ্কায় নদী পাড়ে বসবাসরত পরিবারদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কোন ভাবেই থামছে না তিস্তার ভাঙন। তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে বেসামাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। গোটা বছরের ব্যবধানে হাজারও একর আবাদি জমিসহ দুই হাজার বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। চলতি মৌসুমে বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা ও হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তানদী এখন তার গতিপথ হারিয়ে এবং পলি জমে একাধিক শাখা নদীতে পরিনত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে এখন স্রােত দেখা দিয়েছে। কথা হয় কারেন্ট বাজার গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার সাথে। তিনি বলেন উজানের ঢলে বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভাঙনের শঙ্কায় অসংখ্য পরিবার। তাদের আশ্রয়স্থল নেই বললে চলে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান- তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হরিপুরের চর মাদারি পাড়া, কারেন্ট বাজার, পাড়া সাদুয়া গ্রামের কমপক্ষে ৫০টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বালুর বস্তা ফেলা হলেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদীভাঙন রোধ করা কোন ক্রমে সম্ভব নয়। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান,অবিরাম বর্ষণের কারনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চন্ডিপুর, তারাপুর, হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com