সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। চরের কৃষকরা তোষাপাট কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। মাঝি-মাল্লারা নৌকা মেরামত এবং পরিচর্যা শুরু করেছে। গত চারদিন ধরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে অবিরাম বর্ষন অব্যাহত রয়েছে। সে কারণে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তৗব্র ভাঙন। উজানের পানি নেমে আসায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলকা চরের আব্দুর রউফ মিয়া জানান, যে হারে অবিরাম বৃষ্টি বাদল অব্যাহত রয়েছে। তাতে করে আগমী এক সপ্তাহের মধ্যে আগাম বন্যা দেখা দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি বলেন তার এক বিঘা তোষাপাট ক্ষেতে চার দিনের ব্যবধানে হাটু পানি জমে গেছে। সে কারণে তোষাপাট কাটতে হচ্ছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চলমান বৃষ্টি আগাম বন্যার লক্ষণ। ইতিমধ্যে তিস্তার শাখা নদী সমুহ পানিতে ভরে গেছে। নিচু এলাকায় পানি জমে গেছে। উজানের পানি গড়ে এলে আরও পানি বৃদ্ধি পাবে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন গত চারদিনের ব্যবধানে কাশিমবাজার গ্রামে ৫০টি পরিবার নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান ইতিমধ্যে বণ্যা কবলি ইউনিয়ন সমুহের চেয়ারম্যানদের নিয়ে আগাম বন্যার প্রস্তুতিমুলক সভা করা হয়েছে। কিছু বরাদ্দ প্রস্তুত রয়েছে।