শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার তীব্র ভাঙন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার তীব্র ভাঙন

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এবং পানি কমতে শুরু করলেও তিস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এ যেন মরার উপর খরার ঘা। টানা ভাঙনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর, পুটিমারী, কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া বাদামের চর, পোড়ার চর, কালাইসোতার চর, কেরানির চর, ফাকরের চর, লালচামার, হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া, চর মাদারিপাড়া, কানিচরিতা বাড়ি গ্রামে হাজারও একর জমি ও বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েক হাজার একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যার পাশাপাশি ভাঙন অব্যাহত থাকায় বেসামাল তিস্তা পাড়ের মানুষজন। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর বিভিন্ন চরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় নদীতে তীব্র স্রােত দেখা দিয়েছে। স্্েরাতের কারনে ভাঙনের ফলে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারহ ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। কথা হয় কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামের রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন তিস্তার ভাঙনে চরাঞ্চলবাসি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় তীব্র আকারে নদী ভাঙার কথা নয়। অথচ দীর্ঘদিন থেকে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। যার কারনে কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রায় হাজারও একর জমিও বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। চরের মানুষ তরিতরকারির আবাদ করে সংসার চালায়। কিন্তু নদী ভাঙন এবং বন্যার কারনে কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। তিনি আরও বলেন তার দুই বিঘা আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হওয়ার পথে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে, সে কারনে সামান্য পানিবৃদ্ধি পেলে নিচু এলাকা প্লাবিত হয় এবং সারা বছর নদী ভাঙন অব্যাহত থাকে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন একদিকে করোনা, অন্যদিকে বন্যা এরপর নদী ভাঙন। সবমিলে চরবাসি উপর চেপে বসেছে খরার উপর মরার ঘা। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মোতাবেক উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে , তবে বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান নদীভাঙন রোধ একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। তবে নদী শাসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের একটি প্রকল্প ইতিমধ্যে একনেকে পাস হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com