শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার গর্ভে লখিয়ার পাড়া-পারাসাদুয়া সড়ক

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার গর্ভে লখিয়ার পাড়া-পারাসাদুয়া সড়ক

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ত্রি-মুখী সমস্যায় তিস্তার চরবাসি। মহামারি করোনায় লকডাউন, তিস্তার তীব্র ভাঙন ও ঈদের বাজার। সবমিলে চরবাসি হতাশায় দিনাতিপাত করছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের লখিয়ার পাড়া-পারাসুদুয়া সড়কটি বিলিন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। তিস্তার এই ভয়াল রুপ যেন কালের বিবর্তন। দিন রাতের ব্যবধানে চলে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, কাঁচা পাকা সড়ক বসতবাড়িসহ আবাদি জমি। ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা । ভাঙনের মুখে হাজারও বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙনের শঙ্কায় নদী পাড়ে বসবাসরত পরিবারদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কোন ভাবেই থামছে না তিস্তার ভাঙন। তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে বেসামাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। গোটা বছরের ব্যবধানে হাজারও একর আবাদি জমিসহ দেড় হাজার বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। চলতি মৌসুমে বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা ও হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তানদী এখন তার গতিপথ হারিয়ে এবং পলি জমে একাধিক শাখা নদীতে পরিনত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে এখন স্রােত দেখা দিয়েছে। কথা হয় কাশিম বাজার গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ সরকারের সাথে। তিনি বলেন উজানের ঢলে বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভাঙনের শঙ্কায় অসংখ্য পরিবার। তাদের আশ্রয়স্থল নেই বললে চলে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান- তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে লখিয়ার পাড়া-পারাসাদুয়া সড়কটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পাশাপাশি ১২টি পরিবার তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে। বালুর বস্তা ফেলা হলেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদীভাঙন রোধ করা কোন ক্রমে সম্ভব নয়। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চন্ডিপুর, তারাপুর, হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com