শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কঞ্চিবাড়ি বাজার ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় শকুনের একটি বড় ঝাকের আনাগোনা দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী। এর মধ্যে কয়েকটি শকুন ক্লান্ত হয়ে খাবারের খোঁজে ও বিশ্রামের জন্য গাছের মগ ডালে বসে, কয়েকটি মাটিতে নেমে আসে। শকুনের ১২ ফিটের ডানায় ভর করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে বিশাল আকৃতির শকুন জাতের পাখিগুলো মানুষের রোষানলে পরে। দীর্ঘ হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আগত এসব শকুন ক্লান্ত হয়ে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পড়লে এর মধ্যে কয়েকটি শকুনকে মানুষ ধরে ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রণমেন্টাল রিসার্চ-তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার নজরে আসে বিষয়টি। অতপর তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি জাহিদ রায়হান তীর-কেন্দ্রীয় কমিটির পরামর্শ ও সহযোগীতায় আইইউসিএন-বাংলাদেশ ও সামাজিক বনবিভাগ রংপুরের বন সংরক্ষককে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক তীর-গাইবান্ধা শাখার স্বেচ্ছাসেবীদের ঘটনাস্থলে যেতে বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
‘তীর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা’র সভাপতি মোঃ জাহিদ রায়হান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহীম রাফি, কোষাধ্যক্ষ শেখ ফরিদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ রূপম মিয়া সহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গতকাল থেকে সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে তিনটি হিমালিয়ান প্রজাতির শকুন উদ্ধার হয়। তীর-কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত হাসানের পরামর্শে শকুনগুলো উদ্ধারের পাশাপশি উক্ত এলাকায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন ও মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শকুন তিনটিকে রংপুরে বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে এবং পরে এইগুলোকে দিনাজপুর সিংড়া জাতীয় উদ্যানের শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে বলে বন সংরক্ষককে অবহিত করেছেন। শকুনের বিষয় নিয়ে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও তীর এর উপদেষ্টা প্রফেসর মোঃ খলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শকুন হচ্ছে প্রকৃতির ঝাড়–দার। শকুন বড় ডানার বৃহদাকার পাখি, এটি তীক্ষè দৃষ্টির অধিকারী মৃত ভক্ষণকারী পাখি।