শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে এক কিশোরের হাতে নাঈম ইসলাম (৭) নামের এক শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগে খুনি কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত নাঈম উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটী গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে। খুনি কিশোর বাপরাজ (১৪) একই গ্রামের আইয়ূব আলীর ছেলে। পুলিশ,স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ মাস আগে এলাকায় একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় কিশোর বাপরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে সাজা দেয়। ওইদিন নিহত শিশুর বাবা ওই কিশোরকে মারধর করেন। মোবাইল চুরি না করেও তাকে শালিসে মারধর করায় ওই পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টায় থাকে সে। সম্প্রতি এ কিশোর ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নানানভাবে মিলনের পরিবারের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের একটি মাঠে শিশু নাঈমকে খেলতে দেখে বাপরাজ। কিছুক্ষণ খেলা-ধুলার পর শিশু নাঈমকে খেজুর খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে একটু দূরে নিয়ে যায়। এরপর পাখির বাসা পেড়ে দিবে বলে নির্জন একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। জঙ্গলে নাঈমকে শারীরিক নির্যাতন করে বাপরাজ। নির্যাতনে গুরুত্বর আহত হলে জঙ্গলের ভিতরে থাকা পুকুরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় নাঈমকে। পুকুরের পানিতে শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ওই কিশোর। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর শিশুটির খোঁজ না পেয়ে মাইকিং করে নিহতের পরিবার। এরপর মাইকিং শুনে বাড়িতে গিয়ে তার ফুফুর কাছে শিশু খুনের ঘটনা খুলে বলে কিশোর বাপরাজ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কিশোরকে খুঁজে বের করে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। লাশ উদ্ধারের পর সবাই ব্যস্ত থাকার সুযোগে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই উপজেলার মজুমদার হাট থেকে কিশোর বাপরাজকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করেছে বাপরাজ। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নিহত শিশুর মা ছামছুন্নাহার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান,এ ঘটনায় শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অপরাধে কিশোর বাপরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!