মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ চলতি মৌসূমে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আমণ ধান উপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবারে ২৯ হাজার ৮’শ ৫২ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩০ হাজার ৭’শ ৭৯ হেক্টর জমিতে আমণ ধানের চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের দিক-নির্দেশনাসহ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদেরকে সহায়তা প্রদান, কৃষিক্ষেত্রে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণ আর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমসহ অবিরাম প্রচেষ্টায় আমণ ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত জাতের ধানবীজে উৎপাদিত চারা রোপণ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আসন্ন মৌসূমে আমণ ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদ-নদী বেষ্টিত উপজেলাটির ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে সম্পূণরূপে বেলকা, হরিপুর কাপাসিয়া এবং আংশিকরূপে চ-িপুর শ্রীপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, দহবন্দ, তারাপুর ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার রামডাকুয়া মৌজার একটি বৃহদাংশের নদ-নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চরগুলোতে এখন দেখা যায় নানান ফসলের সমারোহ।
এসময় দেখা গেছে, বিভিন্ন চরে শ্রাবণমাসে সর্বশেষ বন্যা পরবর্তীকালে পলল পড়া কিছু কিছু চরে ছিটানো ধান গজিয়ে বিনা চাষ ও স্বল্প খরচ, পরিচর্যা ও কম সময়েই আগাম জাতের ধানগুলো কাটা-মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা- কৃষিবিদ মোঃ রাশিদুল কবির আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন- আমরা কৃষকদেরকে যথাযথ পরামর্শ প্রদান করে আসছি। এপর্যন্ত মাঠে ফসলের অবস্থা খুবই ভাল। আমণ ধান চাষাবাদে জমির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এবং বাম্পার ফলন দেখা দেয়ায় এবারে উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।