শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে আখ চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা

সুন্দরগঞ্জে আখ চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিশ বছর আগের কথা। ১৬ হতে ২০ চাকার ট্র্যাক্টরে করে গ্রাম-গঞ্জ হতে আখ নিয়ে যেত বামনডাঙ্গা এবং নলডাঙ্গা রেল ষ্ট্রেশনে। আর তখনেই দুরন্তপনা করত গ্রামের ছেলেরা। ট্র্যাক্টর হতে আখ টেনে বের করে দৌড়ে পালিয়ে যেত। এর পরও থেমে থাকেনি ছেলেদের দুরন্তপনা। চলন্ত মাল ট্রেন থেকে আখ টেনে নিয়ে যেত তারা। সেই সোনালী দিনের গল্প এখন শুধু স্মৃতি মাত্র। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে আখ চাষাবাদ। উন্নত জাতের আখের চারা, কৃষকদের স্বল্প সুদে বিনিয়োগ দেয়া, আখ মেইল বন্ধ, রপ্তানি ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আখ চাষাবাদ নেই বললে চলে। উপজেলার বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে কম বেশি আখ চাষাবাদ হত। ইদানিং নজরে আসে না আখ ক্ষেত। চলতি মৌসুমে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম এক বিঘা জমিতে আখ চাষাবাদ করেছেন। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন আজ থেকে ২০ বছর আগে ৫ হতে ১০ বিঘা জমিতে আখ চাষ করতাম। এখন আর করি না। তিনি বলেন আগে আখ মেইল থেকে সরকারিভাবে আখ কিনে নিয়ে যেত। তাছাড়া উৎপাদন খরচ কম ছিল। প্রয়োজনীয় উপকরণের দামও ছিল হাতের নাগালে। স্থানীয়রা আর আখ চাষ করে না। কৃষি অফিস হতে আখ চাষের ব্যাপারে তেমন কোন সারা নেই। সে কারণে আখ চাষাবাদ দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রংপুর চিনিকলের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক আকবর আলী জানান, বিভিন্ন কারণে চিনিকল সমুহ বন্ধ হয়ে গেছে। আখ রপ্তানির জায়গা না থাকলে আখ চাষাবাদ করে লাভ কি হবে। সে কারণে আখ চাষিরা এখন আখ চাষাবাদ হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, আজ থেকে ২০ বছর আগে উপজেলার ২ হতে ৩ ইউনিয়নে আখ চাষাবাদ হত। বর্তমানে আখ চাষাবাদ নেই বললে চলে। চিনি ও গুড় যেহেতু আমাদের নিত্য প্রয়োনীয় পণ্য, সে কারণে আখ চাষাবাদ একান্ত প্রয়োজন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com