বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে অসময়ে তিস্তার ভাঙনে বিলিন হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

সুন্দরগঞ্জে অসময়ে তিস্তার ভাঙনে বিলিন হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে অসময়ে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে এলাকাবাসি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গন ঠেকানোর তাৎক্ষনিক কোন ব্যাবস্থা না থাকায় ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন চরবাসি। অব্যাহত ভাঙনে প্রতি বছর বাড়ি-ঘর স্থানান্তর করতে নাকাল অবস্থা বিরাজ করছে তাদের। গত এক মাসের ভাঙনে হাজারো একর জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো হাজারও একর আবাদি জমি, বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা।
গত বছরের ভয়াবহ বন্যার ধকল সেরে উঠতে না উঠতে উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর লাগামহীন ভাঙন চরবাসীকে নাকাল করে তুলেছে। ভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত চরবাসীকে অসহনীয় কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহে কৃষকের স্বপ্ন নদী ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে।
শুকনো মৌসুমে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর ও বিশেষ করে কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটিকাপাসিয়া মেীজার বাদামের চরে তিস্তার ভাঙনে ভুট্টার আবাদসহ ৫’শ একর জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বাদামের চরের নদী ভাঙ্গনের শিকার রাজা মিয়া, জলিল, লুৎফর রহমানসহ ১৬ জন ভুট্টা চাষী সাহায্যের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
কাপাসিয়া চরের কৃষক আঃ করিম, আয়তন্নেছা ও জোহরা বেগম জানান, যখনই একটু মাথা তুলে দাড়াতে চাই, সে বছরেই নদীর বুকে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার জানান, নদী পাড়ের মানুষ আমি নিজেও। আমি জানি নদী ভাঙ্গনের কষ্ট এবং জ্বালা যন্ত্রণা। নদী ভাঙন রোধে সরকারের বড় পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস সূত্র জানায়, নদী ভাঙন রোধ, সংস্কার ও তীর সংরক্ষণ কাজের ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, বর্তমানে তিস্তার ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে শুধু আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com