শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে অসময়ে তিস্তার ভাঙন, বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে

সুন্দরগঞ্জে অসময়ে তিস্তার ভাঙন, বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ থামেনি তিস্তার ভাঙন। অসময়ে অব্যাহত ভাঙনে উঠতি ফসলসহ বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। টানা ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। ভাঙনে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর পুটিমারী গ্রামে শতাধিক একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমি। একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে রমজান মাসে ভাঙনের বেসামাল হয়ে গেছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন। মানবেতর জীবনযাপন করছে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো। বিশেষ করে কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তা এখন মরায় পরিনত হয়েছে। তিস্তার বুক জুড়ে এখন ধু-ধু বালুচর। পলি জমে তিস্তার মুলনদী একাধিক শাখায় পরিনত হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে তীব্র স্রােতে দেখা দিয়েছে। স্রােতের কারনে উজানের ভাঙনে তিস্তার বালু চরের ফসল ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে বেগুন, মরিচ, ভুট্টা, কুমড়া, তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলের সমাহার আবাদ হয়েছে। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তা সেসব ফসল ঘরে তুলতে দিচ্ছে না। কথা হয় শ্রীপুর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের ফরমান আলীর সাথে। তিনি বলেন, ‘তিস্তার ভাঙনে চরাঞ্চলবাসি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় নদী ভাঙার কথা নয়। অথচ দীর্ঘদিন থেকে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। যার কারনে শ্রীপুর ইউনিয়নের প্রায় হাজারও বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। চরের মানুষ তরিতরকারির আবাদ করে ৬ মাস সংসার চালায়। কিন্তু এ বছর নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার এক বিঘা জমির তোষাপাট ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া এক বিঘা জমির বেগুন ক্ষেতের প্রায় বেশিভাগ নদীতে বিলিন হওয়ার পথে। শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, ‘নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদীভাঙনরোধ করা কোনক্রমে সম্ভব নয়। কারন দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি জানেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, নদীভাঙনরোধ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তবে নদী সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com