সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁচা ও পাকা সড়কগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ধান এবং খড় শুকানোর কাজে। সড়কগুলো যেন দখল করে নিয়েছে কৃষক-কৃষাণীরা। পাশাপাশি সড়কের দুইধারে ধান ও খড়ের স্তুব দেয়ার কারনে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারি। যার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট সড়ক দুর্ঘটনা। অনেক পথচারি ধান ও খড়ের ধুলাবালিতে নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফিরে দেখা গেছে দীর্ঘদিন থেকে কৃষক-কৃষাণীরা বেপরোয়াভাবে ভাবে সড়কগুলো ব্যবহার করে আসছে। বিশেষ করে কাঁচা সড়কগুলোয় ধানের ময়লা আর্বজনা ও খড় পড়ে থাকায় বৃষ্টির পানিতে পিচিছল এবং কাদায় পরিনত হয়েছে। সে কারনে সড়কগুলো দিয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পৌর শহরের স্কুল শিক্ষক সেকেন্দার আলী সরকার জানান সুন্দরগঞ্জ- বেলকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটি দিয়ে মোটর সাইকেল, রিকসা, ভ্যান ও আটোবাইক চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া গাইবান্ধা-রংপুর ভায়া সুন্দরগঞ্জ গ্রামিণ সড়কটি ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং দুইধারে খড়ের স্তুব থাকায় যানবাহন নিয়ে চলাচল করা দূরহ্ ব্যাপার হয়ে দাড়িছে। এসব কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। দহবন্দ ইউনিয়নের কৃষাণী রহিমন বেগম জানান বাড়িতে উঠান না ধান খড় নিয়ে রাস্তায় এসেছি। রাস্তায় ধান ও খড় থাকায় মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়নি।