শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে চাষিরা তোষাপাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে

সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে চাষিরা তোষাপাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ তিস্তার চরাঞ্চলের তোষাপাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে পরেছে চাষিরা। গোটা চরাঞ্চল পানিতে থৈ থৈ করলেও স্রােতে ভেসে যাওয়ার ভয়ে তোষাপাট পচাঁতে (জাগ দিতে) পারছে না। সে কারনে অনেকে চরের তোষাপাট কেটে ভ্যান যোগে অন্যত্র নিয়ে বদ্ধ পুকুরে পচাঁতে বাধ্য হচ্ছে। আবার অনেকে তিস্তার চরে বাঁশের খুটির ঘির দিয়ে তার ভিতরে তোষাপাট পচাঁনোর চেষ্টা করছে। অপরদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তোষাপাট ক্ষেতে কমর পানি উঠেছে। সে কারনে চরাঞ্চলে তোষাপাট কাটার হিড়িক পড়েছে। কষ্টের অর্জিত সোনালী আশঁ ঘরে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চরের কৃষক-কৃষাণীরা। কথা হয় বেলকা চরের কৃষক একরামুলের সাথে। তিনি বলেন যে হারে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা দেখা দিতে পারে। সে কারনে চরে তোষাপাট জাগ দেয়া নিরাপধ নয়। রাতের অন্ধকারে পানির স্রােতে পাটের জাগ ভেসে যেতে পারে। তিনি বলেন গত বছর তার এক বিঘা জমির তোষাপাটের জাগ গভীর নদীতে ভেসে গেছে। যার কারনে তিনি চলতি মৌসুমে তিনি পাট কেটে ভ্যান যোগে কাইম (উচু) এলাকায় নিয়ে বদ্ধ পুকুরে জাগ দিচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ২৭২ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। এর সিংহভাগ চাষ হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চলে। ফলনও ভাল হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমন তোষাপাট গ্রেড অনুযায়ী ১হাজার হতে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে তোষাপাটের ফলন ভাল হয়েছে। তবে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম কাটতে হচ্ছে তোষাপাট। নদীতে তোষাপাট পচাঁলে রং ভাল হয় বদ্ধ পুকুরে তোষাপটের রং ভাল হয় না। কিন্তু নদীতে তোষাপাট পচাঁনো কষ্টকর ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com