বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত না করে গাইবান্ধায় যত্রতত্র ত্রাণ তৎপরতা গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভিড় করে বাজার-সদাই করছেন সাধারণ মানুষ। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হলেও বাজার করতে গিয়ে আইন মানছে না কেউই। ফলে ঝুঁকি বাড়ছে করোনা সংক্রমণের। জেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ১০ টাকা কেজি দরে দরিদ্রদের মধ্যে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। এই চাল ক্রয়ের জন্য তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে ভীড় করে আইডি কার্ড প্রদান এবং ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঠেলাঠেলি করে চাল ক্রয় করতে দেখা যায়। জেলাজুড়ে কাঁচাবাজার গুলোতে মনেই হবে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে সাধারণ ছুটি, আহবান জানানো হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। হাট-বাজারের অস্থায়ী দোকানগুলোতেও একই দৃশ্য। এছাড়া জেলা সদর, পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলগুলোতে জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে ত্রাণ বিতরণ করছে সেক্ষেত্রেও নিরাপদ দূরত্বের এ বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না।
অথচ রবিবার পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলায় ৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীসহ ১৫৮ জন সন্দেহজনক রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন এ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানের বিষয়টি মানা একান্ত জরুরী। অন্যথায় সংগত কারণেই করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়বে বই কমবে না। নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা নেই, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব। এমন পরিস্থিতির কারণে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি। ফলে ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য-সুরক্ষা বিধি-বিধানগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি তৎপরতা চাইছেন বিশিষ্টজনরা।